টাইম ম্যাগাজিনের ‘বর্ষসেরা শিশু’ গীতাঞ্জলি রাও

টাইম ম্যাগাজিন প্রতিবছর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের তালিকা করলেও এবার প্রথম ‘বর্ষসেরা শিশুর’ তালিকা প্রকাশ করেছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Dec 2020, 05:18 PM
Updated : 3 Dec 2020, 05:18 PM

পাঁচ হাজারের বেশি আমেরিকানের মধ্য থেকে বিজ্ঞান, শিল্পসহ নানাক্ষেত্রে অবদানের ভিত্তিতে ৮ থেকে ১৬ বছর বয়সী পাঁচ শিশুকে বাছাই করে তৈরি করা হয়েছে এ তালিকা।

আর এতেই সবাইকে পেছনে ফেলে ‘সেরা শিশু ২০২০’ হয়েছেন ভারতীয়-মার্কিনি গীতাঞ্জলি রাও। ১৫ বছর বয়সী গীতাঞ্জলি একজন তরণ বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবক। 

দ্রুত ও কম খরচে সীসা-দূষিত পানি শনাক্তের যন্ত্র আবিষ্কার করে এর আগে ১১ বছর বয়সেই ‘আমেরিকার শীর্ষ তরুণ বিজ্ঞানীর’ খেতাব পেয়েছিলেন গীতাঞ্জলি।

তাছাড়া, গতবছর ফোর্বসের অনূর্ধ্ব ত্রিশ বছর বয়সীদের তালিকায়ও স্থান পেয়েছিলেন কলোরাডোর এই কিশোরী।

টাইম ম্যাগাজিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গীতাঞ্জলি রাও অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলিনা জোলিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে দূষিত পানির সমস্যা, মাদকাসক্তি এবং সাইবারবুলিং এর মতো সমস্যা মোকাবেলায় প্রযুক্তির ব্যবহার নিয়ে তার কাজ করে যাওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন এবং বলেছিলেন, বিশ্বব্যাপী নানা সমস্যা সমাধানে তরুণ উদ্ভাবকদের একটি ‘গ্লোবাল কমিউনিটি’ গড়ে তোলাও তার লক্ষ্য।

‘টাইম ফর কিডস’ সম্পাদক আন্দ্রে ডেলবাঙ্কো বলেছেন, “ছোট ছোট প্রচেষ্টাগুলোই বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে।”

গীতাঞ্জলি ‘টেথিস’ নামক যে যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন তা কার্বন ন্যানোটিউবের মাধ্যমে পানিতে সীসার উপস্থিতি সনাক্ত করে। যুক্তরাষ্ট্রের পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় সীসা দূষণের কথা শোনা যায়। গীতাঞ্জলির যন্ত্রটি এক্ষেত্রে কাজে আসবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

গীতাঞ্জলির আগে ২০১৯ সালে ‘পারসন অব দ্য ইয়ার’ বা ‘বর্ষসেরা ব্যক্তিত্ব’ হিসেবে টাইম ম্যাগাজিন বেছে নিয়েছিল সুইডিশ কিশোরী গ্রেটা থুনবার্গকে।

ধরিত্রীকে রক্ষায় স্কুলের পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে জলবায়ু আন্দোলনে শামিল হওয়া থুনবার্গ তার সোজাসাপটা এবং ক্ষুরধার বক্তব্যের জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাতি পেয়েছিলেন।

রয়টার্স জানায়, এবার টাইম ম্যাগাজিনের বছরের প্রভাবশালী পাঁচ শিশুর তালিকায় গীতাঞ্জলি ছাড়াও আরও যে চার শিশু স্থান পেয়েছে তারা হচ্ছেন: ক্যালিফোর্নিয়ার চিত্রশিল্পী টাইলর গর্ডন (১৪), মিজৌরির ডিজাইনার জর্ডান রিভস (১৪), ভার্জিনিয়ার ক্রেওন শিল্পী ব্যালেন উডওয়ার্ড (১০) এবং অস্টিনের হাঙ্গার কর্মী আয়ান ম্যাককেনা (১৬)।

এই শিশুরা সংকটে পড়া মানুষের জন্য খাবার উৎপাদন থেকে শুরু করে, অক্ষম শিশুদের জন্য ভাল খেলনার নকশা তৈরি করা এমনকী বর্ণবাদের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার নিয়ে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।