প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিপরীতে বড় ধরনের জয় পাওয়া বাইডেনকে অভিনন্দন জানানোর মিছিলে এই নেতাদের নীরবতা চোখে পড়ার মতো।
এর মধ্যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পাশাপাশি চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের শুভেচ্ছা বার্তাও এখনও পাননি বাইডেন। অথচ ২০১৬ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়ের পরপরই তাকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন এই দুই দেশের নেতাই।
বাইডেন যথেষ্ট ভোটের ব্যবধানে জয় পেলেও ট্রাম্প এখনও হার স্বীকার না করে নির্বাচনের ফল নিয়ে আইন লড়াই করছেন। রয়টার্স সোমবার জানায়, চীন বলেছে তারা প্রথামাফিকই নির্বচনী ফলের প্রতিক্রিয়া জানাবে।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন গণমাধ্যমে দৈনিক এক ব্রিফিংয়ে বলেছেন, “আমরা দেখছি বাইডেন নির্বাচনে জয় ঘোষণা করেছেন। আমরা মনে করি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফল দেশটির আইন এবং প্রক্রিয়ামাফিকই নির্ধারিত হবে।”
চীনের গ্লোবাল টাইমস পত্রিকার সম্পাদক এক টুইটে বলেছেন, “পশ্চিমা দেশগুলোর মতো এত তাড়াতাড়ি চীন বাইডেনকে অভিনন্দন জানায়নি। কারণ, আমি মনে করি চীনের উচিত যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন থেকে অনেকটা দূরত্ব বজায় রাখা যাতে দেশটির বিতর্কে চীন না জড়িয়ে যায়। এতে আসলে সামগ্রিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি চীনের সম্মানেরই বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে।”
অন্যদিকে, মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেস ম্যানুয়েল লোপেজ ওব্রাডর বলেছেন, সব আইনি লড়াইয়ের সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তিনি বাইডেনকে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানাবেন না।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোও অভিনন্দন জানাননি বাইডেনকে। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শেষের পর প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পই জিতবেন বলে দারুণ প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন এই নেতা। বাইডেনের জয়ে এখন তিনি নিশ্চুপ।
বাইডেনকে অভিনন্দন না জানানো আরেক নেতা হচ্ছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়িপ এরদোয়ান। তিনি এখনও বাইডেনের জয় নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও কথা বলেননি।