যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভের (ইউএসজিএস) তথ্যানুযায়ী, শুক্রবারের এই ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল তুরস্কের উপকূলীয় ইজমির প্রদেশ।
ভূমিকম্পের ধাক্কায় গ্রিসের সামোস দ্বীপসহ সূদূর রাজধানী এথেন্স এবং তুরস্কের ইস্তাম্বুলও কেঁপে উঠেছে।
ভূমিকম্পে দুই দেশেই আছড়ে পড়েছে সুনামির ঢেউ। বন্যায় প্লাবিত হয়েছে তুরস্কের ইজমির উপকূলের কিছু অংশ।
অন্যদিকে, গ্রিসের সামোস দ্বীপে ঘরবাড়ির দেয়াল ভেঙে পড়ে এক কিশোর ও এক কিশোরী নিহত হয়েছে।
তুরস্কের ইজমিরে ভেঙে পড়েছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত ১৭ টি বাড়ি। যুক্তরাষ্ট্রের জিওলজিক্যাল সার্ভে ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ বলে জানিয়েছে। তবে তুরস্কের এএফএডি বলছে, ভূমিকম্পের মাত্রা ৬ দশমিক ৬।
তুরস্ক এবং গ্রিস উভয় দেশই ‘ফল্ট লাইন’ এর উপর অবস্থান করছে। যে কারণে ওই অঞ্চলে মাঝেমধ্যেই ভূমিকম্প হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ছবি ও ভিডিওতে ধসে পড়া ভবনের ধ্বংস্তুপের নিচে হতাহতদের খোঁজে অনুসন্ধান চালাতে দেখা গেছে। ধ্বংসস্তুপের নিচ থেকে ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইজমিরের গভর্নর।
গ্রিসের সামোস দ্বীপেও সুনামিতে বন্যা এবং বাড়িঘর ভেঙে পড়ার খবর পাওয়া গেছে। দ্বীপটিতে ৬ .৭ মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।