প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে থাইল্যান্ডে আবার বিক্ষোভ

প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচার পদত্যাগের জন্য বেঁধে দেওয়া সময় পেরিয়ে যাওয়ায় থাইল্যান্ডে আবার হাজারো বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ শুরু করেছে।

>>রয়টার্স
Published : 25 Oct 2020, 02:03 PM
Updated : 25 Oct 2020, 02:03 PM

শনিবার রাতে তাদের বেঁধে দেওয়া সময় শেষ হয়ে যায়। রোববার রাজধানী ব্যাংককের সড়কে জমা হন বিক্ষোভকারীরা।

বিক্ষোভকারীদের এক নেতা বলেন, ‘‘যদি তিনি পদত্যাগ ‍না করেন তবে আমরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাব এবং তাকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে সরে যেতে বলবো। বিক্ষোভকারীরা ‘প্রায়ুথ চলে যাও’ বলে স্লোগান দেয়।”

তবে বিক্ষোভকারীরা যতই দাবি করুক প্রায়ুথ দ্বায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়াবেন না বলে তার কার্যালয় থেকে এক টুইটে জানানো হয়েছে।

টুইটে বলা হয়, যে সংকটময় পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে পার্লামেন্টে আলোচনার ‍মাধ্যমেই তার সমাধান খুঁজে বের করা উচিত। এজন্য আগামী সোমবার বা মঙ্গলবার পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশন বসবে বলে জানায় প্রায়ুথ।

২০১৪ সালে সেনা অভ্যূত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেন সাবেক জেনারেল প্রায়ুথ। গত বছর ভোটে জিতে তিনি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হন। যদিও ওই নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে।

ভোটের পর থেকেই ফলাফল বাতিল করে নতুন নির্বাচনের দাবিতে নানা সময়ে খণ্ড খণ্ড বিক্ষোভ হচ্ছিল। তবে গত জুলাই থেকে বিক্ষোভ দানা বাঁধে।

বিক্ষোভকারীরা প্রায়ুথের পদত্যাগ, নতুন নির্বাচন, সংবিধান সংশোধন এবং রাজপরিবারের ক্ষমতা খর্ব করার দাবি জানাচ্ছে।

যদিও থাইল্যান্ডের আইনে রাজা ও রাজপরিবারের সমালোচনা দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও লাগাতার বিক্ষোভে লোকজন সাহসী হয়ে উঠছে।

জনতার ভিড়ে সমর্থকদের থাই রাজার শুভেচ্ছা:

এই বিক্ষোভ-প্রতিবাদ চলার মধ্যেই এক বিরল পদক্ষেপে শুক্রবার রাতে প্রটোকল ভেঙে জনতার ভিড়ের মধ্যে রাজতন্ত্রের সমর্থক ও শুভাকাঙ্খীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন থাই রাজা মাহা ভাজিরালংকর্ণ।

সরকার বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে থাইল্যান্ডের প্রয়াত রাজা ভূমিবল আদুলিয়াদেজের ছবি হাতে ধরে থাকা এক ব্যক্তিকে রাজা ধন্যবাদও জানান।

ব্যাংকক থেকে বিবিসি’র সংবাদদাতা জানিয়েছেন, ভাজিরালংকর্ণ জার্মানিতেই বেশি থাকেন। তবে থাইল্যান্ডে তিনি যখন থাকেন তখন সাধারণত কোনও অনুষ্ঠানেই সভাপতিত্ব করেন। সেখানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে তার আলাপচারিতার সুযোগ থাকে কমই।

কিন্তু শুক্রবার এ নিয়মই ভেঙে রাজা ভাজিরালংকর্ণ মন্দিরে একটি অনুষ্ঠান শেষে রানি সুথিদাকে নিয়ে আম-জনতার ভিড়ে গিয়ে তাদের সঙ্গে কিছু সময় কাটান।

যারা রাস্তায় বেরিয়ে এসে রাজতন্ত্রকে সমর্থন জানাতে চায় তাদের প্রতি রাজ সমর্থনের ইঙ্গিত দিতেই সম্ভবত রাজা ভাজিরালংকর্ণের এই প্রচেষ্টা, বলছেন সংবাদদাতারা।

মাহা ভাজিরালংকর্ন থাইবাসীর কাছে তার বাবা রাজা ভূমিবলের মত অতটা জনপ্রিয় নন। তিনি খুব একটা দেশে থাকেনও না।