ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাসে ধর্ষণ, নির্যাতনের পর হাসপাতালে মৃত্যু হওয়া দলিত তরুণীর বাড়িতে যাওয়ার পথে গ্রেপ্তার হওয়ার পর ছাড়া পেয়েছেন কংগ্রেসের নেতা রাহুল গান্ধী।
Published : 01 Oct 2020, 11:25 PM
বুধবার দিল্লি থেকে হাথরাসে যাওয়ার পথে গ্রেটার নয়ডায় রাহুল গান্ধী ও তার বোন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ভদ্রসহ কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধি দলের গাড়িবহর আটকে দেয় উত্তর প্রদেশ রাজ্য পুলিশ। সেখান থেকে স্থানীয় কংগ্রেস নেতানেত্রীদের সঙ্গে নিয়ে হেঁটে রাহুল ও প্রিয়াঙ্কা অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ ফের তাদের বাধা দেয়।
বাধার মুখে কংগ্রেসের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা রাস্তায় বসে পড়েন। এই পর্যায়ে পুলিশ লাঠি পেটা শুরু করে ও এক পর্যায়ে রাহুলকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে তাকে গ্রেপ্তার করে।
এরপর রাহুলকে সাময়িকভাবে আটক করে রাখার পর পুলিশ তাকে মুক্তি দিয়েছে। সঙ্গে তার বোন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেও পুলিশ ছেড়ে দিয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা আগেই হাথরসে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে উত্তর প্রদেশ সরকার। তারপরও কর্মসূচি বাতিল না করে গাড়িবহর নিয়ে রওনা হন কংগ্রেসের নেতানেত্রীরা।
উত্তর প্রদেশ পুলিশ জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে রাজ্যে নিয়ন্ত্রণ জারি আছে, সেই কারণেই রাহুলদের গাড়িবহর আটকানো হয়েছে।
হাথরাসের জেলাপ্রশাসক পি লস্কর বার্তা সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছে, ‘অপ্রীতিকর পরিস্থিতি’ এড়াতে জেলার সীমানা সিল করে দেওয়া হয়েছে এবং এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
রাহুল ও প্রিয়ঙ্কার সফরের কোনও খবর তাদের জানা নেই বলেও জানিয়েছিলেন তিনি।
ভারতের উত্তর প্রদেশের হাথরাসে দলগত ধর্ষণ ও নির্যাতনের পর হাসপাতালে মারা যাওয়া তরুণীর মৃতদেহ পরিবারের সদস্যদের সম্মতি ছাড়াই পুলিশ কর্মকর্তারা জোর করে দাহ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ নিয়ে ভারতজুড়ে তীব্র ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। এই ঘটনাকে সামনে রেখে ভারতের বিভিন্ন এলাকায় প্রতিবাদ শুরু করেছে বিরোধী দলগুলো।