সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (সিডিসি) পরিচালক ড. রবার্ট রেডফিল্ড ‘ভুল বলেছেন’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
বুধবার সিনেটের শুনানিতে সিডিসি পরিচালক জানান, যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে করোনাভাইরাসের টিকার ব্যাপক প্রয়োগ আগামী বছরের মাঝামাঝির আগে শুরু করা যাবে না। তবে নভেম্বর, ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে স্বাস্থ্য কর্মীসহ করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সম্মুখসারিতে থাকা কিছু মানুষকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে এ টিকা দেওয়া হতে পারে।
পরে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প রেডফিল্ডের দেওয়া এ সময়সূচির সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
“আমার মনে হয় তিনি বলার সময় ভুল করেছেন। এগুলো ঠিক তথ্য নয়। আপনারা জানেন, আমরা একটি টিকা পাওয়ার খুব কাছাকাছি অবস্থান করছি। আমার ধারণা, অক্টোবরের কোনো এক সময় থেকেই আমরা টিকা দেওয়া শুরু করতে পারবো,” বলেছেন তিনি।
টিকা পেতে দীর্ঘ সময় লাগবে জানানো রেডফিল্ডকে ‘বিভ্রান্ত’ বলেও অ্যাখ্যা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
“আমি আপনাদের বলছি, টিকা পাওয়ার পরপরই আমরা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত,” বলেছেন ট্রাম্প।
এর আগে সিনেটের শুনানিতে সিডিসি পরিচালক বলেছিলেন, “আমার ধারণা আগামী বছরের সেকেন্ড কোয়ার্টার বা থার্ড কোয়ার্টারের আগে সাধারণ মানুষের জন্য নিরাপদ ও কার্যকর একটি টিকা সহজলভ্য হবে না।”
মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসে বিশ্বের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রেই সবচেয়ে বেশি শনাক্ত রোগী পাওয়া গেছে। দেশটিতে কোভিড-১৯ এ প্রায় দুই লাখ মানুষের মৃত্যুও হয়েছে।
ট্রাম্পের সমালোচকরা যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে সরকারের ব্যর্থতার দায়ভার প্রেসিডেন্টের উপরই চাপাচ্ছেন।
আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফের জয়ী হতে ট্রাম্প নভেম্বরের আগেই যেনতেন উপায়ে টিকা আনতে চান বলেও অনুমান তাদের।
বিশ্লেষকদের ধারণা, সিডিসি পরিচালকের সঙ্গে টিকা নিয়ে ট্রাম্পের এ মতবিরোধ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারে বেশ প্রভাব ফেলতে পারে।
সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এরই মধ্যে টিকা নিয়ে ট্রাম্পের পূর্বাভাসের কঠোর সমালোচনাও করেছেন।
“আমি যখন বলি টিকায় আস্থা আছে, তখন আমি বিজ্ঞানীদের উপর আস্থা রাখি, ট্রাম্পের উপর নয়,” টুইটারে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন তিনি।