পুতিনের সমর্থন পেতে রাশিয়ায় বেলারুশের প্রেসিডেন্ট

বেলারুশে টানা পাঁচ সপ্তাহের বিশাল বিক্ষোভের পর প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো মস্কোর সমর্থন পেতে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে সাক্ষাতের জন্য রাশিয়ায় পৌঁছেছেন।

>>রয়টার্স
Published : 14 Sept 2020, 12:39 PM
Updated : 14 Sept 2020, 12:56 PM

সোমবার লুকাশেঙ্কোর বিমান ব্ল্যাক সি রিসোর্ট সোচি-তে অবতরণ করেছে। দেশে গত ২৬ বছরের শাসনামলে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়া লুকাশেঙ্কোর ভাগ্য ঝুলে আছে পুতিনের হাতে।

বেলারুশে লুকাশেঙ্কোর নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভ দমনের চেষ্টা চালাচ্ছে। এর মধ্যে রাশিয়ার অর্থনৈতিক এবং সামরিক সমর্থন পেলে তা পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে নিয়ে আসতে লুকাশেঙ্কোর জন্য সহায়ক হতে পারে।

লুকাশেঙ্কোকে রাশিয়ার বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। প্রয়োজনে বেলারুশে বিক্ষোভ ঠেকাতে পুলিশ পাঠাতেও প্রস্তুত বলে এর আগে জানিয়েছিলেন পুতিন।

বেলারুশে গত মাসে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠকে বসছেন লুকাশেঙ্কো। তবে বেলারুশের বিরোধীদলীয় নেতা সেভেৎলানা প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর মতো একজন একনায়কের সঙ্গে পুতিনের বৈঠক নিয়ে দু:খ প্রকাশ করেছেন।

৯ অগাস্টের নির্বাচনে লুকাশেঙ্কো জয়ী হওয়ার পর থেকেই পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশে অস্থিরতা শুরু হয়। লুকাশেঙ্কোর বিরোধীরা এবং পশ্চিমারা তার বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করেছে।

লুকাশেঙ্কো বিরোধীরা ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে রাজধানী মিনস্কসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ শুরু করে।

তখন থেকেই চলমান বিক্ষোভ-সহিংসতায় অন্তত চারজনের প্রাণহানিসহ আরও শত শত মানুষ আহত হয়েছে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কঠোরভাবে দমনের চেষ্টা করছে সরকার।

তাতেও থামছে না বিক্ষোভ।রোববার লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে রাজধানীতে ১ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছে। রাস্তায় দেখা গেছে জনস্রোত। এদিন বিক্ষোভ শুরু হওয়ার আগে থেকেই পুলিশের ধরপাকড় শুরু হয়।

পুলিশ ২৫০ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে পুলিশ ফাঁকা গুলিও ছুড়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার ইন্টারফ্যাক্স বার্তা সংস্থা। এর আগে শনিবারও রাজধানীতে বিক্ষোভ করে কমপক্ষে ৫ হাজার মানুষ। তারা জেলবন্দি বিরোধী নেতাদের মুক্তির দাবি জানায়।

কেবল রাজধানীই নয় দেশজুড়ে অন্যান্য শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। দেশজুড়ে এ বিক্ষোভে শনিবার রাতে মোট ১১৪ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এর মধ্যে ৯৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছে রাজধানীতে।