বেলারুশে কঠোর নিরাপত্তা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ

বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে কঠোর নিরাপত্তা উপেক্ষা করে প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে বিপুল সংখ্যক মানুষ।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 Sept 2020, 08:16 PM
Updated : 6 Sept 2020, 08:16 PM

রোববার প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের কাছের বিক্ষোভে পুলিশ লাঠিচার্জ করে, মরিচের গুঁড়ার স্প্রে ছুড়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করেছে। গ্রেপ্তার হয়েছে বহু মানুষ।

বিক্ষোভকারীরা দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগ চায়। গত ২৬ বছরের শাসনামলে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন লুকাশেঙ্কো।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন তিনি। লুকাশেঙ্কোর বিরোধীরা এবং পশ্চিমারা তার বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করেছে।

৯ অগাস্টের নির্বাচনে লুকাশেঙ্কো জয়ী হওয়ার পর থেকেই পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশে অস্থিরতা শুরু হয়।লুকাশেঙ্কো বিরোধীরা ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে রাজধানী মিনস্কসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করেছে।

তখন থেকে চলমান বিক্ষোভ-সহিংসতায় অন্তত চারজনের প্রাণহানিসহ আরও শত শত মানুষ আহত হয়েছে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কঠোরভাবে দমনের চেষ্টা করছে সরকার।

তাতেও থামছে না বিক্ষোভ।রোববার দেশটিতে আরও বড় বিক্ষোভ হয়েছে। রাস্তায় দেখা গেছে জনস্রোত। বিক্ষোভ দমনে পুলিশও আরও কঠোর হয়েছে।

বিক্ষোভ ঠেকাতে নিরাপত্তা বাহিনী বিভিন্ন ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক বন্ধ করে দেয়।মিনস্কে দাঙ্গা পুলিশও মোতায়েন করা হয়।

তারপরও সব কড়াকড়ি উপেক্ষা করে মানুষ বিক্ষোভে রাস্তায় নেমে এসেছে। ভিডিও ফুটেজে সাধারণ পোশাক পরা পুলিশকে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের লাঠিপেটা করতে দেখা গেছে।

বেলারুশের একটি মানবাধিকার গোষ্ঠী বলেছে, মিনস্কের এই বিক্ষোভে পুলিশ ১৫০’রও বেশি জনকে আটক করেছে।

এক বিক্ষোভকারী এর আগে বিবিসি নিউজকে বলেন, লোকজন নিরাপত্তা বাহিনীকে ভয় পায়না। “আমরা বহু বছর ধরে যে জীবনে আছি সেখানে এখন আর কোনওভাবেই ফিরে যেতে প্রস্তুত নই।”

সরকারের দমনপীড়নের মুখে বিরোধীদলীয় অনেক নেতাকর্মী দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। শনিবার বেলারুশের মানবাধিকার কর্মী ওলগা কোভালকোভা আটক হওয়ার হুমকির মুখে প্রতিবেশী পোলান্ডে পালিয়ে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন।

১৯৯৪ সাল থেকে বেলারুশের ক্ষমতায় আছেন প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো। তিনি দেশের বিক্ষোভে বিদেশি হস্তক্ষেপের অভিযোগ করেছেন। অন্যদিকে, বিক্ষোভকারী, মানবাধিকার কর্মী এবং পর্যবেক্ষকরা দাঙ্গা পুলিশ দিয়ে নির্মমভাবে বিক্ষোভ দমনের অভিযোগ করেছে বেলারুশ সরকারের বিরুদ্ধে।