বেলারুশে বিক্ষোভ, ধরপাকড় চলছেই

বেলারুশে প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো বিরোধী গণবিক্ষোভ এবং পুলিশের ধরপাকড় চলছেই।

>>রয়টার্স
Published : 13 Sept 2020, 04:00 PM
Updated : 13 Sept 2020, 05:13 PM

দেশটিতে প্রতি সপ্তাহেই লাখো মানুষ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ-সমাবেশ করছে। রোববার কেবল রাজধানী মিন্সকের রাস্তায়ই বিক্ষোভ করেছে অন্তত ১ লাখ মানুষ।

বেলারুশে চলমান বিক্ষোভের মধ্যে এদিনই সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ হল। মিন্সকের ইন্ডিপেনডেন্স স্কয়ার অভিমুখে বিক্ষোভকারীরা মিছিল করেছে।

বিক্ষোভ ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ মিন্সকের সেন্ট্রাল স্কয়ারসহ ইনডিপেনডেন্স চত্বর কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অবরুদ্ধ করে, সশস্ত্র আইনপ্রয়োগকারী বাহিনী মোতায়েন করেও মানুষের ঢল থামাতে পারেনি।

রোববার বিক্ষোভ শুরু হওয়ার আগে থেকেই পুলিশের ধরপাকড় শুরু হয়। পুলিশ ২৫০ জনকে গ্রেপ্তার করার কথা জানিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে পুলিশ ফাঁকা গুলিও ছুড়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার ইন্টারফ্যাক্স বার্তা সংস্থা।

এর আগে শনিবারও রাজধানীতে বিক্ষোভ করে কমপক্ষে ৫ হাজার মানুষ। তারা জেলবন্দি বিরোধী নেতাদের মুক্তির দাবি জানায়।

কেবল রাজধানীই নয় দেশজুড়ে অন্যান্য শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে বিক্ষোভ। দেশজুড়ে এ বিক্ষোভে শনিবার রাতে মোট ১১৪ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। এর মধ্যে ৯৯ জন গ্রেপ্তার হয়েছে রাজধানীতে।

রোববার ব্রেস্ট শহরের বিক্ষোভে পুলিশকে বিক্ষোভকারীদের ওপর জলকামান ছুড়তে দেখা গেছে নেক্সটা লাইভ চ্যানেলে।

গত ৯ অগাস্টের নির্বাচনে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো জয়ী হওয়ার পর থেকেই পূর্ব ইউরোপের দেশ বেলারুশে অস্থিরতা শুরু হয়। লুকাশেঙ্কো বিরোধীরা ভোটের ফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে রাজধানী মিনস্কসহ দেশের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ করে।

তখন থেকেই চলমান বিক্ষোভ-সহিংসতায় অন্তত চারজনের প্রাণহানিসহ আরও শত শত মানুষ আহত হয়েছে। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ কঠোরভাবে দমনের চেষ্টা করছে সরকার।

বিক্ষোভকারীরা দীর্ঘদিনের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কোর পদত্যাগ চায়। লুকাশেঙ্কোর বিরোধীরা এবং পশ্চিমারা তার বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করেছে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন লুকাশেঙ্কো। গত ২৬ বছরের শাসনামলে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন তিনি।