এই ঘটনার পর তিন হামলাকারীকে গুলি করে হত্যা করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। ঘটনাটি ‘সন্ত্রাসী’ হামলা, বলছেন তারা।
২০১৫ সালে তিউনিসিয়ার এই সুসেই বড় ধরনের আরেকটি সন্ত্রাসী হামলা হয়েছিল। ওই ঘটনায় এক বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত হয়েছিল ৩৮ জন। যাদের বেশিরভাগই ছিল ব্রিটিশ পর্যটক।
এবারের হামলাটি তিউনিসিয়ায় নতুন সরকার শপথ নেওয়ার দুদিনের মাথায়ই ঘটল বলে জানিয়েছে বিবিসি।
হামলাকারীরা সুস শহরের বন্দরের কাছের একটি জংশনে ন্যাশনাল গার্ডের চেকপোস্টে গাড়ি নিয়ে ধাক্কা দেয়।
ন্যাশনাল গার্ডের মুখপাত্র জেবাবলি বলেছেন, “সুসের কেন্দ্রস্থলে প্রহরায় থাকা দুই ন্যাশনাল গার্ড কর্মকর্তার ওপর ছুরি হামলা হয়েছে। একজন নিহত হয়েছেন এবং আরেকজন আহত হয়ে হাসপাতালে আছেন। এটি সন্ত্রাসী হামলা।”
জেবাবলি জানান, ঘটনার সময় হামলাকারীরা পুলিশের বন্দুক এবং গাড়ি চুরি করে পালাচ্ছিল। নিরাপত্তা বাহিনী এল কান্তাওয়ি পর্যটন এলাকার মধ্য দিয়ে তাদের পিছু ধাওয়া করে।
“বন্দুকযুদ্ধে তিন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে তিনটি বন্দুক এবং গাড়ি,” বলেন তিনি।
হামলাকারীদের সঙ্গে কোনও চরমপন্থি গোষ্ঠীর যোগসাজস আছে কিনা তা স্পষ্ট জানা যায়নি। তবে সম্প্রতি তিউনিসিয়ায় সিরিয়া, লিবিয়া এবং ইরাক থেকে ফিরে আসা জিহাদিদের বড় ধরনের হুমকি রয়েছে।