সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের সিক্রেট সার্ভিসের (ইউএসএসএস) একজন এজেন্ট তাকে সেখান থেকে সরিয়ে নেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, এ ঘটনার বেশ কয়েক মিনিট পর (নয় মিনিট) ট্রাম্প সংবাদ সম্মেলনে ফিরে এসে জানান, আইন প্রয়োগকারীরা এক ব্যক্তিকে গুলি করেছে এবং তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ওই সন্দেহভাজন সশস্ত্র ছিল সেটি তিনি বুঝতে পেরেছেন বলেও জানান।
“হোয়াইট হাউসের বাইরে গুলির ঘটনা ঘটেছে। এটি বেশ ভালভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে, তবে সেখানে আসলেই গুলির ঘটনা ঘটেছে আর কোনো একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আমি জানিনা ওই ব্যক্তির অবস্থা কী,” বলেন তিনি।
হোয়াইট হাউস প্রাঙ্গণের প্রান্তে বেড়ার কাছে গুলিবর্ষিত হয়েছে বলে জানান তিনি।
এক টুইটে সিক্রেট সার্ভিস বলেছে, “গুলির ঘটনার তদন্ত চলছে। ঘটনার সঙ্গে একজন ইউএসএসএস কর্মকর্তাও জড়িত আছেন। একজন পুরুষ ব্যক্তি ও একজন ইউএসএসএস কর্মকর্তা, উভয়কেই স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনা চলার সময় হোয়াইট হাউস প্রাঙ্গণে প্রবেশের কোনো ঘটনা ঘটেনি বা কোনো রক্ষীও বিপদে পড়েনি।”
ট্রাম্পকে পাহারা দিয়ে বের করে নিয়ে যাওয়ার একটু আগে হোয়াইট হাউসের প্রেস রুমের দরজাগুলো তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
“কোনো বিস্তারিত (বিবরণ) ছিল না- আমরা শুধু এখনই জেনেছি,” সাংবাদিকদের বলেন ট্রাম্প।
প্রেস রুমের মঞ্চে দাঁড়িয়ে শেয়ার বাজার নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছিলেন ট্রাম্প, এর কয়েক মিনিট পরই তার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সিক্রেট সার্ভিসের একজন এজেন্ট এসে তাকে থামিয়ে কানে কানে কিছু বলেন।
ট্রাম্পকে “ওহ্!” এবং “কী হচ্ছে” এমনটি বলতে শোনা যায়, এ সময় প্রেস রুম ছেড়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এ ঘটনার সময় পুরো হোয়াইট হাউস বন্ধ করে রাখা হয়েছিল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত যু্ক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মনুশেন এবং ব্যবস্থাপনা ও বাজেট দপ্তরের পরিচালক রাসেল ভো-কেও সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়।
ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, তাকে পাহারা দিয়ে বের করে ওভাল দপ্তরে নেওয়া হয়েছিল; হোয়াইট হাউসের পশ্চিম অংশের এই দপ্তরটির অবস্থান প্রেস রুমের কাছেই।