‘অর্থনৈতিক দুরবস্থা’ নিয়ে ইসরায়েলে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ

করোনাভাইরাসজনিত সংকটে সরকারের অদক্ষতায় ভয়াবহ অর্থনৈতিক দুরবস্থার সৃষ্টি হয়েছে অভিযোগ করে প্রতিবাদে তেল আবিবে বিক্ষোভ দেখিয়েছে ইসরায়েলের কয়েক হাজার নাগরিক।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 July 2020, 07:41 AM
Updated : 12 July 2020, 07:41 AM

মূলত তরুণরাই শনিবার রবিন স্কয়ারের এ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। মুখে মাস্ক থাকলেও তাদেরকে সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা মানতে দেখা যায়নি বলে জানিয়েছে বিবিসি।

প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে দেয়া বিধিনিষেধের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ইসরায়েলে সরকার। সেই ক্ষতিপূরণের অর্থ সময়মতো মিলছে না বলে অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের।

ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী, স্ব-নিয়োজিত কর্মী এবং পারফর্মিং আর্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কয়েকটি দল এ বিক্ষোভের আয়োজন করে।

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সরকারের নেয়া নানান পদক্ষেপের কারণে এদের অনেকেরই আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে, দিন কাটাতে হচ্ছে কষ্টেসৃষ্টে। সরকারের সহায়তা স্কিম থেকে যে অর্থ প্রাপ্য, তা এখনও পাননি বলে জানিয়েছেন তারা।

বেতনভুক্ত চাকরিজীবীরা সবেতন ছুটির আওতায় সরকারের বেকার ভাতার সুবিধা পেলেও ব্যক্তি উদ্যোক্তারা বলছেন, সরকারের প্রতিশ্রুত অর্থ সাহায্য পেতে তাদেরকে কয়েক মাস ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

একটি সাউন্ড ও লাইটিং কোম্পানির ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইকেল গাইস্ট-কাসিফ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “আমার ৪০ জন কর্মী, অথচ কোনো আয় নেই, অর্থ নেই। আমরা চাই, স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত যেন সরকার অর্থ সহায়তা দেয়। মার্চের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিল, মে, জুন পর্যন্ত আমরা কাজ করতে পারিনি আর জুলাই আর অগাস্টে তো বিপর্যয়কর অবস্থার সৃষ্টি হবে বলেই মনে হচ্ছে।”

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু শুক্রবার আন্দোলনকর্মীদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছে তার দপ্তর।

“আপনাদের যে অর্থ দিতে চেয়েছি তা দ্রুত দেয়াসহ আমরা আমাদের সব প্রতিশ্রুতিই পূরণ করবো,” নেতানিয়াহু এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে তারা।

বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে মার্চের মাঝামাঝি থেকেই কঠোর লকডাউন দিয়েছিল ইসরায়েল; মে-র শেষ থেকে বিধিনিষেধগুলো ধীরে ধীরে শিথিল হয়।

এর মধ্যেই দেশটিতে বেকারত্বের হার বেড়ে ২১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে বলে বিবিসি জানিয়েছে।

শুক্রবার দেশটিতে প্রায় দেড় হাজার মানুষের দেহে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি ধরা পড়েছে।

জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রোববার সকাল পর্যন্ত ইসরায়েলে কোভিড-১৯ শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৩৭ হাজার ৪৬৪; মৃত্যু হয়েছে ৩৫৪ জনের।