করোনাভাইরাসের মধ্যে এ পর্যন্ত বিশ্বের অল্প কয়েকটি দেশই নির্বাচন করেছে। সিঙ্গাপুরও ভোট অনুষ্ঠান করে সে তালিকায় নাম লেখাল।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি যে কোনও সময়ের চাইতে এখন সবচেয়ে বেশি অবনতির দিকে যাচ্ছে। এ সবকিছুকে উপেক্ষা করেই শুক্রবার ভোটগ্রহণ চলছে।
কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভোটাররা ভোট দিচ্ছে। প্রত্যেকেই মুখে মাস্ক আর হাতে গ্লাভস পরা ছাড়াও সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনে চলছেন, নিজেরাই আইডি কার্ড স্ক্যান করেছেন এবং ব্যালট পেপার নেওয়ার আগে হাত জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করছেন।
কেন্দ্রে আসা ভোটারদের শরীরের তাপমাত্রা মাপছে কর্তৃপক্ষ। ভোটাররা কতক্ষণ ভোটকেন্দ্রে থাকতে পারবেন তার সময় নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সুরক্ষা প্রক্রিয়া পেরিয়ে ভোটারদের ভোট দিতে অনেকটা সময় লেগে যাওয়ায় বাড়ানো হয়েছে ভোটগ্রহণের সময়ও।
নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে রেকর্ড ১১ টি দল। ১৯৬৫ সালে স্বাধীনতার সময় থেকে ক্ষমতায় থাকা পিপলস অ্যাকশন পার্টিই (পিএপি) আবার জয় পাবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। পিএপি জিতলে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লুং আরেক মেয়াদে ক্ষমতায় থেকে যাবেন।
সিঙ্গাপুরের স্বাধীনতার জনক খ্যাত লি কুয়ান ইউয়ের ছেলে লি ২০০৪ সাল থেকে ক্ষমতায় আছেন। এরই মধ্যে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছাও জানিয়েছেন তিনি।
তবে দেশকে করোনাভাইরাস সংকট থেকে বের করে আনতে তিনি শেষবারের মতো এবার ক্ষমতায় আসতে চান।
ক্ষমতাসীন দলের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে ওয়ার্কারস পার্টি। মহামারীর মধ্যে ভোট অনুষ্ঠান করে সরকার ওয়ার্কার্স পার্টির প্রচার বিঘ্নিত করার প্রচেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ দলটির।
এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সিঙ্গাপুরই করোনাভাইরাসে সবচেয়ে বিপর্যস্ত হয়েছে। দেশটিতে ৪৫ হাজারের বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে।
সিঙ্গাপুরের আগে গত এপ্রিলে নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছে দক্ষিণ কোরিয়া এবং জুনে সার্বিয়ায় ভোট হয়েছে। দু’দেশেই ভোটাররা ক্ষমতাসীন দলকে ক্ষমতায় ফিরিয়েছে।