দেশটিতে লকডাউন নীতি না নেয়ার পেছনে সুইডেনের রাষ্ট্রীয় এপিডেমিওলজিস্ট আন্দেস টেগনেলই প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন বলে মনে করা হয়।
কয়েকমাস ধরে ভাইরাস মোকাবেলায় নিজের পদ্ধতিকে ‘বেশি টেকসই’ অভিহিত করে আসা টেগনেল বিভিন্ন দেশে লকডাউন পদ্ধতির সমালোচনাও করেছিলেন বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
বুধবার সকালে সুইডেনের সভেরিয়াস রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে টেগনেল দেশটিতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ না করায় বিপুল সংখ্যক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বীকার করে নেন।
“আজ আমরা যা জানি, তার ভিত্তিতেই যদি এ রোগের মুখোমুখি হতে হয়, তাহলে সুইডেন এতদিন যা করেছে এবং বাকি বিশ্ব যা করেছে, আমরা এই দুইয়ের মাঝামাঝি অবস্থান নিতাম,” বলেছেন তিনি।
জনসংখ্যার ভিত্তিতে সুইডেনে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার পর্যন্ত দেশটির ৩৮ হাজার ৫৮৯ জনের দেহে কোভিড-১৯ শনাক্ত হয়েছে; মৃত্যু হয়েছে চার হাজার ৪৬৮ জনের।
অথচ সুইডেনের প্রতিবেশী নরওয়ে, ডেনমার্ক ও ফিনল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে নতুন করোনাভাইরাসে ৬০০ জনেরও কম মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এসব দেশ করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রথম থেকেই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল।
মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া নভেল করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ইউরোপের বিরাট অংশ যখন লকডাউনে, তখন উল্টো চিত্র ছিল সুইডেনে। লকডাউন বা এর কাছাকাছি কোনো কঠোর বিধিনিষেধের শরণ নেয়নি দেশটির কর্তৃপক্ষ।
স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রেখে করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ‘নিজের দায়িত্ব নিজেকে নেয়ার’ কৌশল হাজির করেছিল সুইডেনের সরকার। কঠোর পদক্ষেপ ছাড়াই কোভিড-১৯ এর সংক্রমণের গতি কমাতে পারবেন বলে আশা করছিলেন দেশটির জনস্বাস্থ্যের দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষ ও রাজনীতিকরা।