সম্পর্ককে ‘নতুন স্নায়ুযুদ্ধের’ দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র: চীন

করোনাভাইরাস নিয়ে চক্রান্ত করে এবং মিথ্যা ছড়িয়ে যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে ‘নতুন স্নায়ুযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে’ বলে এবার অভিযোগ করেছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 May 2020, 04:32 PM
Updated : 24 May 2020, 05:03 PM

করোনাভাইরাসের উৎপত্তি এবং তা ছড়িয়ে পড়ার ব্যাপারে সময়মত তথ্য না দেওয়া নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর কাছ থেকে চীন বারবার আক্রমণের শিকার হওয়ার পর ওয়াং এ অভিযোগ করলেন।

বিবিসি জানায়, রোববার চীনের পার্লামেন্ট অধিবেশনের সময় এক বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে ওয়াং বলেছেন, চীনকে অপমান, অপদস্থ করতে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিবিদরা ‘রাজনৈতিক ভাইরাস’ ছড়াচ্ছেন।

“যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রাজনৈতিক শক্তি চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ককে জিম্মি করে ফেলছে।” এই রাজনৈতিক শক্তি বলতে ওয়াং কোন শক্তির কথা বোঝাচ্ছেন তা স্পষ্ট করেননি।

তবে তিনি বলেন, “তারা আমাদের দু’দেশকে নতুন স্নায়ুযুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিচ্ছে।”

ওয়াং আরো বলেন, ‘‘অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে এই যে, নতুন করোনাভাইরাসের ধ্বংসলীলার মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রে একটি রাজনৈতিক ভাইরাসও ছড়িয়ে পড়ছে। এই ভাইরাস চীনকে আক্রমণ করা কিংবা কুৎসা রটাতে উঠেপড়ে লেগে আছে।”

“কিছু রাজনৈতিক নেতা চীনকে নিশানা করে সত্যকে পুরোপুরি উপেক্ষা করছেন; অতিরঞ্জিত করে অনর্গল মিথ্যা বলছেন এবং ষড়যন্ত্র করে চলেছেন।’’

ওয়াং বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উৎস সন্ধানের আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টায় চীন দ্বার খোলা রেখেছে।

তাই এ বিষয়টি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে অযথা সময় নষ্ট না করা এবং করোনাভাইরাসে মূল্যবান জীবন নষ্ট না করার ব্যাপারে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান ওয়াং।

করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ওয়াশিংটনকে বেইজিংয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করারও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

ওয়াং বলেন, “আমাদের দু’দেশের ওপরই বিশ্বে শান্তি এবং উন্নয়নের বড় ধরনের দায়িত্ব বর্তায়। চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র সহযোগিতার মধ্য দিয়েই লাভবান হতে পারবে। আর সংঘাত কেবল ক্ষতিই ডেকে আনবে।”

যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যে বাণিজ্য এবং মানবাধিকারের মতো বিষয়গুলো নিয়ে দীর্ঘদিন থেকেই সংঘাত চলে আসছে।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা নাটকীয়ভাবে আরো বেড়েছে। ট্রাম্প বরাবরই চীনের সমালোচনা করে আসছেন। এমনকী দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক শেষ করার ইঙ্গিতও তিনি দিয়েছেন।

এর মধ্যে যোগ হয়েছে হংকংয়ে চীনের নতুন জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালুর বিষয়টিও। এ আইন পাস করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে চীন।

যুক্তরাষ্ট্র এরই মধ্যে আইনটির সমালোচনা করে বলেছে, এর মাধ্যমে চীন আসলে হংকংয়ের বাসিন্দাদের কন্ঠরোধ করতে চাইছে। এ সবকিছু মিলিয়েই নতুন মোড় নিয়েছে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত।