বার্লিনে নামাজের জন্য খুলে দেয়া হল গির্জার দরজা

সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনা মানতে গিয়ে মসজিদে স্থান সংকুলান না হওয়ায় মুসলমানদের নামাজ পড়ার জন্য জার্মানির বার্লিনের একটি গির্জা তাদের দুয়ার খুলে দিয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 May 2020, 10:02 AM
Updated : 23 May 2020, 11:20 AM

চলতি মাসের ৪ তারিখ থেকে জার্মানিতে শারিরীক দূরত্ব মেনে ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনার অনুমতি দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রত্যেককে ন্যূনতম ৫ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।

নতুন এ নির্দেশনায় বার্লিনের দার আসসালাম মসজিদে শুক্রবার নামাজ পড়তে আসা মুসলিমদের জায়গাই হচ্ছিল না; এ অবস্থায় মার্থা লুদেরান গির্জা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

গির্জা কর্তৃপক্ষের এমন বদান্যতায় মুগ্ধ দার আসসালাম মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ তাহা সাররি।

“মহামারী আমাদেরকে এক সম্প্রদায়ে পরিণত করেছে। সংকটই মানুষকে একত্রিত করে,” বলেছেন তিনি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দার আসসালামে মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে সাধারণত কয়েকশ মুসলমান জড়ো হন। কিন্তু নতুন নির্দেশনায় সেখানে ৫০ জনের বেশি মানুষের পক্ষে নামাজ পড়া সম্ভব ছিল না।  

শেষ পর্যন্ত মার্থা লুদেরান গির্জা দ্বার খুলে দিলে স্থান সংকুলানের সমস্যা মিটে যায়।

“(গির্জার ভেতরে থাকা) বাদ্যযন্ত্র আর ছবিগুলোর জন্য একটা অদ্ভূত অনুভূতি হচ্ছিল। কিন্তু আপনি যদি এসব ছোটখাট বিষয় ভুলে যান, শেষ পর্যন্ত এটাও তো ঈশ্বরেরই ঘর,” বলেছেন নামাজ পড়তে আসা সামির হামদুন। 

এদিনের জুমার নামাজে কেবল মুসলমানরাই ছিলেন না, ছিলেন মার্থা লুদেরান গির্জার যাজকও।

“জার্মান ভাষায় বক্তৃতা দিয়েছি আমি। আর প্রার্থনার সময় কেবল ইয়েস, ইয়েস, ইয়েস বলে গেছি। আমাদের উদ্বেগ একই রকমের, এবং আমরা আপনাদের (মুসলমান) কাছ থেকে শিখতে চাই। একে অপরকে এমনভাবে অনুভব করতে পারা সত্যিই চমৎকার,” বলেছেন মনিকা ম্যাথিয়াস।