কেয়ার হোমে ‘মৃত ও পরিত্যক্তদের’ পেল স্পেনের সেনারা

নভেল করোনাভাইরাস মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সহায়তারত স্পেনের সেনারা অবসরপ্রাপ্তদের কেয়ার হোমগুলোর বেশ কয়েকজন বাসিন্দাকে তাদের বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে ও বেশ কয়েকজন বয়োবৃদ্ধ রোগীকে পরিত্যক্ত অবস্থায় পেয়েছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2020, 10:12 AM
Updated : 24 March 2020, 10:37 AM

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এমনটি জানানোর পর ঘটনার বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির সরকারি আইনজীবীরা।

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে ইতালির পর ইউরোপের সবচেয়ে বিপর্যস্ত দেশ স্পেন কেয়ার হোমগুলো জীবাণুমুক্ত করার জন্য সামরিক বাহিনী নিয়োগ করেছে।

বিবিসি জানায়, স্পেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্গারিতা রবলেস বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল তেলেসিঙ্কোকে বলেছেন, “অবসরকালীন হোমে বয়স্ক ব্যক্তিদের সঙ্গে যেরকম আচরণ করা হচ্ছে তা নিয়ে কঠোর ও অনমনীয় হবে সরকার। নির্দিষ্ট কিছু পরিদর্শনে গিয়ে সেনাবাহিনী কিছু বয়স্ক ব্যক্তিকে পুরোপুরি পরিত্যক্ত অবস্থায় এমনকি কয়েকজনকে তাদের বিছানায় মৃত অবস্থায়ও পেয়েছে।”

অবসরপ্রাপ্তদের হোমগুলো ‘সরকারের শীর্ষ বিবেচনায় আছে’ বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন স্পেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী সালভাদর ইলা।

করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার পর কিছু কেয়ার হোমের কর্মীরা কর্মস্থল ছেড়ে গেছেন বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।  

দেশটির স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে এসব কেয়ার হোমের মৃত বাসিন্দাদের দেহগুলো শেষকৃত্যের জন সংগ্রহ না করা পর্যন্ত কোল্ড স্টোরেজে রাখা হয়। 

কিন্তু যখন মৃত্যুর কারণ করোনাভাইরাস বলে সন্দেহ করা হয় তখন উপযুক্ত পোশাকে সজ্জিত শেষকৃত্য কর্মীরা না আসা পর্যন্ত এসব মৃতদেহ তাদের বিছানায়ই রেখে দেওয়া হয়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হযেছে রাজধানী মাদ্রিদে, এখানে ওই ধরনের লাশগুলো সরিয়ে নিতে ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত সময় লাগতে পারে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

মাদ্রিদে সঙ্কট ঘনীভূত হওয়ায় নগর কর্তৃপক্ষের দাফন দপ্তর জানিয়েছে, প্রয়োজনীয় সুরক্ষা উপকরণ না থাকায় মঙ্গলবার থেকে তারা কভিড-১৯ এ মারা যাওয়া রোগীদের লাশ সংগ্রহ বন্ধ রাখবে। 

কভিড-১৯ রোগের বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত সর্বশেষ যে তথ্য হালনাগাদ করেছে সেই অনুযায়ী, স্পেনের আক্রান্তের সংখ্যা ৩৫ হাজার ২১২ জন ও মৃত্যুর সংখ্যা দুই হাজার ৩১৬ জন; আক্রান্তদের মধ্যে তিন হাজার ৩৫৫ জন ‍সুস্থ হয়ে উঠেছেন।