ইরাকের তাজি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে ছোড়া ১৮টি কাতিউশা রকেটের আঘাতে এক ব্রিটিশ ও দুই মার্কিন নাগরিক নিহত হয়েছে।
Published : 12 Mar 2020, 10:36 AM
বুধবার বাগদাদের উত্তরের এই ঘাঁটিতে চালানো এ হামলায় আরও প্রায় ১২ জন আহত হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
এ দিন ইরাকের স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৭টা ৩৫ মিনিটের দিকে হামলাটি হয় বলে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল মাইলস বি ক্যাগানস থ্রি এক টুইটে জানিয়েছেন।
ইরাকে অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ঘাঁটিটিতে ১০৭ মিলিমিটার ব্যাসের ১৮টি কাতিউশা রকেট আঘাত হেনেছে এবং সেগুলো সম্ভবত একটি ট্রাক থেকে ছোড়া হয়েছে।
বিবৃতিতে তিন জন নিহত ও ১২ জন আহত হওয়ার কথা নিশ্চিত করা হলেও হতাহতদের পরিচয় ও তারা কোনো দেশের নাগরিক তা প্রকাশ করা হয়নি।
“জোট বাহিনী ও ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীগুলো হামলার ঘটনাটি তদন্ত করছে,” বিবৃতিতে বলেছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোট।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক মার্কিন বাহিনীর এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, হামলায় এক মার্কিন সৈন্য, এক ভাড়াটে মার্কিন সৈন্য ও এক ব্রিটিশ সৈন্য নিহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে কয়েকজন অবস্থা গুরুতর হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানান এ কর্মকর্তা।
হামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কোনো গোষ্ঠীকে দায়ী করা হয়নি। তবে এতে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়ারা জড়িত এমন কোনো ইঙ্গিত পাওয়া গেলে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ বেধে যেতে পারে বলে আশঙ্কা পর্যবেক্ষক মহলের।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ ঘটনা নিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাবের সঙ্গে কথা বলেছেন।
তারা ‘হামলার ঘটনায় দায়ীদের জবাবদিহিতে বাধ্য করা হবে বলে’ একমত হয়েছেন।
এর আগে ইরাকে মার্কিন বাহিনীর একটি ঘাঁটিতে চালানো রকেট হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের এক ভাড়াটে সৈন্য নিহত হওয়ার পর ইরান সমর্থিত একটি মিলিশিয়া বাহিনীর অবস্থানে হামলা চালিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। হামলায় ওই মিলিশিয়া বাহিনীর অন্তত ২৭ জন সদস্য নিহত হয়।
এর পরই বাগদাদ বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় ওই মিলিশিয়া বাহিনীর উপপ্রধানসহ শীর্ষ ইরানি জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হন। এতে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরুর পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। এর কযেকদিনের মধ্যে ইরাকে মার্কিন বাহিনীর অবস্থানগুলোতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান।
তাতে মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি শতাধিক মার্কিন সৈন্য ব্রেইন ইনজুরিতে আক্রান্ত হন।