চীনের হিসাবে এ নিয়ে ভাইরাস আক্রান্তের মোট সংখ্যা দাঁড়াল ৬২ জনে। যদিও যুক্তরাজ্যের গবেষকদের ধারণা,আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ৭০০ শ’র কাছাকাছি।
চীন চান্দ্র নববর্ষের উৎসবের প্রাক্কালে এই ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে উদ্বিগ্ন।এ সময় লাখ লাখ লোক সমাগমে ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়ছে।ফলে সংক্রমণ ঠেকাতে জনসমাগমে কড়াকড়ির কথা ভাবছে উহান কর্তৃপক্ষ।
১৩ জানুয়ারির আগেই নতুন ১৭ জনের মধ্যে ভাইরাস সংক্রমণে রোগের লক্ষণ হিসাবে জ্বর এবং কাশি ধরা পড়েছে। এ রোগে চীনে এখন পর্যন্ত ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।এর বাইরে থাইল্যান্ড এবং জাপানেও উহান থেকে সেখানে যাওয়া দুইজনের দেহে ভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
গত ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে ভাইরাসটির প্রথম দেখা মেলে। নতুন এ ভাইরাসটি করোনাভাইরাস পরিবারের সদস্য।
চীনা কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ভাইরাসটি মানবদেহ থেকে অন্য মানবদেহে ছড়ায় এমন কোনো লক্ষণ এখনও পাওয়া যায়নি। এটি কোনো প্রাণীদেহ থেকে এসেছে বলে মনে করছেন তারা।
কর্মকর্তারা বলছেন, উহানের বন্যপ্রাণী ও সামুদ্রিক খাবারের বাজারে কোনো দূষিত প্রাণী থেকেই ভাইরাসটি ছড়িয়েছে। ভাইরাস সংক্রমণে সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর জানুয়ারির শুরুতেই উহানের ওই বাজারটি বন্ধও করে দেওয়া হয়।