হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানানো একটি বিলে স্বাক্ষর করে সেটিকে আইনে পরিণত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।
Published : 28 Nov 2019, 11:26 AM
‘হংকং হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি অ্যাক্ট’ নামক এ আইনে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশেষ বাণিজ্য সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে হংকংয়ের পর্যাপ্ত স্বায়ত্তশাসন আছে কিনা, অন্তত বছরে একবার এটি পর্যালোচনা করে দেখার বিধান রাখা হয়েছে; জানিয়েছে বিবিসি।
বিলটিতে বলা হয়েছে, “হংকং চীনের অংশ, কিন্তু আইনি ও অর্থনৈতিক পদ্ধতির দিক থেকে অনেকটাই আলাদা। হংকংয়ের নাগরিক স্বাধীনতা এবং হংকংয়ের ‘বেসিক ল’ দ্বারা সুরক্ষিত আইনের শাসন চীন ক্ষতিগ্রস্ত করছে কিনা, বার্ষিক পর্যালোচনায় এটি যাচাই করা হবে।”
অন্যান্য বিষয়ে মধ্যে আছে, চীনের বিরুদ্ধে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বা শুল্ক হংকংয়ের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না, অর্থাৎ হংকংয়ের বিশেষ বাণিজ্য মর্যাদা বজায় থাকবে।
বিলে আরও বলা হয়েছে, অহিংস প্রতিবাদে অংশ নেওয়ার কারণে গ্রেপ্তার হলেও মার্কিন ভিসা পেতে হংকংবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রের অনুমোদন দেওয়া উচিত।
বুধবার বিলটিতে স্বাক্ষর করার পর ট্রাম্প জানান, ‘চীনের প্রেসিডেন্ট শি (জিনপিং) এবং হংকংয়ের জনগণের প্রতি শ্রদ্ধাবশত’ তিনি বিলটিতে স্বাক্ষর করেছেন।
দুই দেশের মধ্যে চলা বাণিজ্য যুদ্ধ শেষ করতে বর্তমানে চীনের সঙ্গে একটি চুক্তি করার চেষ্টায় আছেন তিনি।
ট্রাম্প এই বিলে স্বাক্ষর করার পর কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চীন। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, মার্কিন এই আইনের জবাবে ‘কঠোর পাল্টা ব্যবস্থা’ গ্রহণ করবে তারা। ‘অশুভ উদ্দেশ্যে’ যুক্তরাষ্ট্র এই আইন করেছে বলে অভিযোগ তাদের।
হংকংয়ের সরকারও প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে; বলেছে, আমেরিকার বিল ভুল বার্তা দিবে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সাহায্য করবে না।
কিন্তু হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলনের অন্যতম নেতা জোশুয়া ওয়াং মার্কিন এই আইনকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের আইন ‘সব হংকংবাসীর জন্য উল্লেখযোগ্য অর্জন’।
জুনে হংকংয়ের প্রতিবাদ বিক্ষোভের প্রথমদিকে এ বিলটি প্রথম মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে তোলা হয়। গত মাসে বড় ধরনের সমর্থনের মাধ্যমে প্রতিনিধি পরিষদে বিলটি অনুমোদিত হয়। চলতি মাসে মার্কিন সিনেটের সদস্যরাও বিলটিতে সর্বসম্মত সমর্থন দেয়।
কংগ্রেসে ব্যাপক সমর্থন পাওয়ায় বিলটিতে ট্রাম্প ভিটো দিলেও ভোটের মাধ্যমে তা উল্টে দেওয়ার সুযোগ ছিল মার্কিন আইনপ্রণেতাদের সামনে।
যাইহোক, ট্রাম্প দ্বিতীয় আরেকটি বিলেও স্বাক্ষর করেছেন। তাতে হংকংয়ের পুলিশের কাছে ভিড় নিয়ন্ত্রণের সরঞ্জাম বিশেষ করে কাঁদুনে গ্যাস, পেপার স্প্রে, রাবার বুলেট ও স্টান গান বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।