ইয়েমেনের পশ্চিমা সমর্থিত সরকার ও বিদ্রোহী এসটিসির মধ্যে চুক্তি

ইয়েমেনের পশ্চিমা সমর্থিত সরকার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সমর্থিত দক্ষিণাঞ্চলীয় বিদ্রোহী গোষ্ঠী সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের মধ্যে ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তি হয়েছে।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে হওয়া এ চুক্তিতে সৌদি সমর্থিত আবদ-রাব্বু মনসুর হাদি সরকারকে এক মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৪ সদস্যবিশিষ্ট মন্ত্রিসভা গঠন করতে বলা হয়েছে, যেখানে উত্তর ও দক্ষিণের সমান অংশীদারিত্ব থাকবে। হাদি সমর্থিত বাহিনী ও সাউদার্ন ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের (এসটিসি) সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো থাকবে নতুন সরকারের স্বরাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে।

মাসখানেকেরও বেশি সময় ধরে দুইপক্ষের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনা শেষে ক্ষমতা ভাগাভাগির এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বলে ইয়েমেনে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের বরাত দিয়ে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

“আল্লাহর ইচ্ছায়, এই চুক্তি ইয়েমেনি গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে যুদ্ধ বন্ধ ও একটি রাজনৈতিক সমাধানে পৌঁছানোর বিস্তৃত আলোচনার দ্বার খুলে দিতে পারে,” টেলিভিশনে সম্প্রচারিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলেছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান।

চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, ইয়েমেনের সৌদি ও পশ্চিমা সমর্থিত সরকার প্রধান হাদি ও এসটিসির নেতা আইদারুস আল জুবাইদি।

ইয়েমেনের ইরান সমর্থিত হুতিদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এসটিসি ও হাদি সমর্থিত বাহিনী একসঙ্গেই ছিল। দক্ষিণাঞ্চলের ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্বে পরে উভয়পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে।

সৌদি আরবের মধ্যস্থতায় চলতি মাসে দুই পক্ষের এই ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তি হুতিবিরোধী লড়াইয়ে উদ্যম যোগাবে বলে ধারণা রিয়াদের।

চুক্তির পথ মসৃন করতে গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাহিনী ইয়েমের এডেন বন্দর ও এর আশপাশের এলাকা সৌদি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর হাতে ছেড়ে দেয়।

হাদি সরকার ও এসটিসির মধ্যে এই চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন ইয়েমেনে জাতিসংঘের দূত মার্টিন গ্রিফিথ।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প টুইটারে ইয়েমেনে দুই পক্ষের চুক্তিকে ‘চমৎকার শুরু’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। তিনি চার বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা গৃহযুদ্ধ থামাতে চূড়ান্ত একটি চুক্তিতে পৌছাতে সবাইকে কঠোর পরিশ্রম করারও আহ্বান জানিয়েছেন।