আটলান্টিক মহাসাগর থেকে উঠে আসা ৫ মাত্রার এ ঘূর্ণিঝড় গত রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত বাহামা দ্বীপপুঞ্জের উত্তরাঞ্চলে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে অনেকটা দুর্বল হয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ও নর্থ ক্যারোলাইনা উপকূলে আঘাত হানে।
ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বাহামায় অন্তত ৪৩ জন নিহত এবং শতাধিক মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে। যে কারণে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়বে বলেও শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, নর্থ ক্যারোলাইনার ওক্রাকোক দ্বীপে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার কথা জানিয়েছেন গভর্নর রয় কুপার।
নর্থ ক্যারোলাইনার পর্যটক প্রিয় দ্বীপগুলোতে আঘাত হানার পর শনিবার ঘূর্ণিঝড় ডোরিয়ান ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে নোভা স্কোশিয়া প্রদেশে উঠে আসে।
ডোরিয়ানের আঘাতে সেখানে শতাধিক গাছ উপড়ে গেছে এবং বেশিরভাগ এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
ঝড়ের সময়ের একটি ভিডিওতে প্রাদেশিক রাজধানী হ্যালিফ্যাক্সে বাতাসের তোড়ে বিশালাকৃতির একট ক্রেন একটি বহুতল ভবনের ছাদে আছড়ে পড়ে টুকরো টুকরো হয়ে যেতে দেখা যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধার অভিযান এবং ত্রাণ বিতরণের জন্য সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে বলে জানান কানাডার জননিরাপত্তামন্ত্রী রল্ফ গুডাল।
ডোরিয়ানের প্রভাবে এরই মধ্যে নোভা স্কোশিয়ায় ১০০ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে; যা আরো বেড়ে রোববার সকালে প্রায় দ্বিগুণ হবে বলে জানান কর্মকর্তারা।
রোববার সকালে ঝড়টি উত্তরের নিউফাউন্ডল্যান্ড এবং পূর্বের ল্যাবরাডোর অতিক্রম করবে বলে জানান আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
স্থানীয় প্রশাসন ওই এলাকার সমুদ্র সৈকতগুলো বন্ধ করে দিয়েছে এবং লোকজনকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।