যুক্তরাজ্যে সাময়িক বিরতির পর আবার শুরু হচ্ছে পার্লামেন্ট অধিবেশন। আর এ অধিবেশনেই ব্রেক্সিট পরিকল্পনা নিয়ে অগ্নিপরীক্ষার মুখে আছেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
Published : 03 Sep 2019, 08:08 PM
পার্লামেন্ট অধিবেশনের প্রথম দিনেই এমপি’রা ব্রেক্সিটে দেরি করা কিংবা চুক্তিহীন ব্রেক্সিট আটকানোর চেষ্টা নিতে জোর তৎপরতা চালাবে।
বিবিসি জানায়, চুক্তিহীন ব্রেক্সিট আটকাতে এমপি’রা মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদের (ব্রেক্সিট) সময় আরো বাড়ানোর অনুরোধ রেখে একটি বিল উপস্থাপন করবেন।
ওই বিল অনুমোদনের জন্য পার্লামেন্টে পর্যাপ্ত ভোট পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন সাবেক চ্যান্সেলর ও বিদ্রোহী টোরি নেতা ফিলিপ হ্যামন্ড। বিবিসি রেডিওকে তিনি বলেন, “আমার বিশ্বাস আমাদের হাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট আছে।”
“কারণ গত সপ্তাহ বা আরো কিছুদিন ধরে সরকারের বেশ কিছু সিদ্ধান্ত আমাদের অনেক সহকর্মীকে ক্ষুব্ধ করেছে। এখন সময় নিজেদের ব্যক্তিগত বা ক্যারিয়ারের উপর কোনো ধরনের হুমকির চেয়ে জাতীয় স্বার্থকে বড় করে দেখা এবং আমার বিশ্বাস, কনজারভেটিভ দলের একদল এমপি এটা খুব ভালোভাবে বুঝে গেছেন।”
পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী, আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যুক্তরাজ্যকে ইইউ থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। হাতে সময় মাত্র ৫১ দিন; অথচ ব্রেক্সিট নিয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের হাতে কোনো পথরেখা নেই। ওদিকে, বিরোধী দলের সঙ্গে মিলে বিদ্রোহী টোরি এমপি’রা প্রধানমন্ত্রীর চুক্তিহীন ব্রেক্সিট আটকাতে পুরো প্রস্তুত।
তাদের প্রচেষ্টা সফল হলে আগামী ১৪ অক্টোবর আগাম নির্বাচনের ডাক দেওয়া হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী জনসন। তাছাড়া, নিজ দলের বিদ্রোহী এমপি’দের বহিষ্কার করারও হুমকি দিয়ে রেখেছেন তিনি।
জনসন বলেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে আগাম নির্বাচন চাইছেন না।“কিন্তু যদি এমপি’রা জিতে যায় তবে ইইউ’র সঙ্গে বিচ্ছেদ প্রক্রিয়ার কাজ সামনে এগিয়ে নেওয়া অসম্ভব হয়ে যাবে।”
ওদিকে প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি অবশ্য আগাম জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকার কথা আগেই জানিয়েছে।
লেবার নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, তার দল ‘আনন্দের সঙ্গেই টোরিদের কাছ থেকে বেক্সিটের দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিতে চায়’।