বিক্ষোভে হংকং বিমানবন্দরের শতাধিক ফ্লাইট বাতিল

হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের প্রধান টার্মিনালে সরকারবিরোধীদের টানা চতুর্থ দিনের বিক্ষোভের কারণে বিমানবন্দরটি থেকে ছেড়ে যাওয়ার তালিকায় থাকা শতাধিক ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 August 2019, 11:25 AM
Updated : 12 August 2019, 02:22 PM

বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দরগুলোর অন্যতম এ হংকং বিমানবন্দরে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী অবস্থান নিয়েছে। এক বিবৃতিতে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিক্ষোভের কারণে বিমানবন্দরের কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।

বিবৃতিতে কর্তৃপক্ষ আরো জানায়, বিমানবন্দরের যেসব ফ্লাইটের যাত্রীদের চেকড-ইন হয়নি সেসব ফ্লাইট সোমবারের জন্য বাতিল করা হচ্ছে। ফলে ১০.০০ জিএমটির পর ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকা ১৬০ টি’র বেশি ফ্লাইট এখন আর রওনা হচ্ছে না।

তবে যেসব ফ্লাইটের যাত্রীদের চেক-ইন হয়ে গেছে সেগুলো চালু রাখা হচ্ছে এবং যেসব ফ্লাইট হংকং বিমানবন্দরে নামার কথা রয়েছে সেগুলোকেও অবতরণ করতে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ।

বিক্ষোভকারীদের অনেকেই পুলিশের হামলায় আহত হয়েছে। রোববার খুব কাছ থেকে পুলিশের টিয়ার গ্যাস ও প্রাণঘাতী নয় এমন বুলেটের আঘাতে তারা আহত হয়। বিক্ষোভকারীদের কয়েকজনকে চোখে ব্যান্ডেজ পরে থাকতে দেখা গেছে। একজন নারীর চোখ থেকে রক্ত ঝরতেও দেখা গেছে।

সোমবার বিকালে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর চড়াও হতে পারে বলে জল্পনা সৃষ্টি হলে অনেকেই পায়ে হেঁটে বিমানবন্দর ছেড়ে চলে যেতে শুরু করেন বলে জানানো হয়েছে স্থানীয় কয়েকটি খবরে। ঘটনাস্থলে থাকা বিবিসি’র এক সাংবাদিক জানিয়েছেন, বিমানবন্দর কার্যত বন্ধ। কর্তৃপক্ষ সংকট কিভাবে সামাল দেওয়া যায় তা ভেবে দেখছে।

চীনে বন্দি প্রত্যর্পণ নিয়ে দুই মাস আগে প্রস্তাবিত একটি বিল বাতিলের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠা হংকংয়ের বিক্ষোভ এখন স্বাধীনতা আন্দোলনের রূপ নিয়েছে। বিক্ষোভের মুখে প্রধান নির্বাহী ক্যারি লাম ওই বিলকে ‘মৃত’ ঘোষণার পরও আন্দোলন থামছে না। বিক্ষোভকারীরা বিলটি পুরোপুরি বাতিল, পুলিশী নিপীড়নের বিরুদ্ধে স্বাধীন তদন্ত এবং ক্যারি লামের পদত্যাগ চাইছে। গত শুক্রবার বিক্ষোভকারীরা টানা কয়েকদিনের কর্মসূচি নিয়ে বিক্ষোভে জড়ো হয়।

১৯৯৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর এবারই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হচ্ছে চীনকেও। বিক্ষোভ দমাতে কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেও, চীন এখনও সেনাবাহিনী নামানো কিংবা অন্য কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার ইঙ্গিত দেয়নি।