পারস্য উপসাগরে বিদেশি বাহিনীর উপস্থিতি ওই অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধির মূল কারণ হবে বলে সতর্ক করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।
Published : 28 Jul 2019, 08:48 PM
রোববার ইরানের রাজধানী তেহরানে ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠকে রুহানি একথা বলেন। হরমুজ প্রণালীর নিরাপত্তা বিধানে বিদেশি সেনা কোনো কাজে আসবে না বলেই মনে করেন তিনি।
সম্প্রতি জিব্রাল্টারে ব্রিটিশ মেরিন সেনারা ইরানি সুপার ট্যাংকার গ্রেস ওয়ানকে আটক করে। যা নিয়ে লন্ডন-তেহরানের মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়তে শুরু করেছে।
যুক্তরাজ্যের সন্দেহ ছিল, গ্রেস ওয়ান সিরিয়ার বানিয়াস শোধনাগারে জ্বালানি নিয়ে যাচ্ছিল। বানিয়াস শোধনাগারের উপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নিষেধাজ্ঞা আছে।
তাদের তেলবাহী জাহাজ আটকের পাল্টা জবাব দিতে তেহরান তার দুই সপ্তাহ পর গত ২৬ জুলাই তেলবাহী ট্যাংকার চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ জলপথ হরমুজ প্রণালী থেকে ব্রিটিশ পতাকাবাহী জাহাজ স্টেনা ইমপেরিওকে আটক করে।
তেহরানের ব্যাখ্যা ছিল, ব্রিটিশ নৌযানটি পারস্য উপসাগরে একটি মাছধরার নৌকার সঙ্গে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে।
লন্ডন তাদের ট্যাংকার জব্দের ঘটনাকে ‘রাষ্ট্রীয় দস্যুপনা’ অ্যাখ্যা দিয়ে হরমুজ প্রণালীতে জাহাজ চলাচল নিরাপদ করতে ইউরোপীয় রাষ্ট্রগুলোর নেতৃত্বে পাহারার ব্যবস্থা চালুর প্রস্তাব দিয়েছিল।ফ্রান্স, ইতালি ও ডেনমার্ক এ প্রস্তাবে প্রাথমিকভাবে সমর্থন দিয়েছে।
এরই সমালোচনা করে ইরানের প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, “বিদেশি সেনাদের উপস্থিতি ওই অঞ্চলের নিরাপত্তায় কোনো কাজে তো আসবেই না, বরং উত্তেজনা বৃদ্ধির প্রধান কারণ হবে।”
প্রাথমিকভাবে ইরান এবং ওমানের উপরই হরমুজ প্রণালীর নিরাপত্তার দায়িত্ব বলেও মনে করেন তিনি।
“আমেরিকার একতরফাভাবে ইরান পরমাণু চুক্তি প্রত্যাহারের কারণে এই অঞ্চলে চলমান অস্বস্তিকর ও উত্তেজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে,” বলেন রুহানি।