৩৫ বছর বয়সী পার্লামেন্ট সদস্য এদুয়ার্দো তার বাবাকে পররাষ্ট্র সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়ে আসছিলেন।
বিবিসি জানিয়েছে, রাষ্ট্রদূত হতে হলে প্রেসিডেন্টপুত্রকে প্রথমে কংগ্রেসের পদ ছাড়তে হবে।
সিনেটের পররাষ্ট্র সম্পর্ক বিষয়ক কমিটি অনুমোদন দিলে এরপর তাকে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ করা হবে কিনা, সে বিষয়ে ব্রাজিলের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পাওয়ার আগেই এদুয়ার্দো যুক্তরাষ্ট্রে দূত হওয়ার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন।
“এ দায়িত্ব যদি প্রেসিডেন্ট দেন, তাহলে অবশ্যই আমি নেবো,” সাংবাদিকদের বলেছিলেন এদুয়ার্দো।
বাবার পাশাপাশি পররাষ্ট্র মন্ত্রী আর্নেস্টো আরুজার সঙ্গে আলোচনার ওপরই চূড়ান্ত মনোনয়ন নির্ভর করছে বলেও মন্তব্য ছিল তার।
চলতি বছরের এপ্রিল থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূতের পদটি ফাঁকা আছে।
বোলসোনেরো প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই অনেকটা ‘ছায়া পররাষ্ট্র মন্ত্রী’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা এদুয়ার্দো খোলামেলাভাবেই ইসরায়েলপন্থি হিসেবে পরিচিত।
কট্টর ডানপন্থি বোলসোনেরো তার পরিবারের আরও কয়েক সদস্যকে নিজের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। তার বড় ছেলে ফ্লাভিও ব্রাজিলের উচ্চকক্ষ সিনেটের সদস্য। আরেক ছেলে কার্লোস বোলসোনেরো রিও ডি জেনিরো শহরের সিটি কাউন্সিলের সদস্য।