ক্রাইস্টচার্চ হামলার ভিডিও শেয়ার করায় ২১ মাসের কারাদণ্ড

ক্রাইস্টচার্চে দুই মসজিদে নির্বিচারে গুলি চালানোর ঘটনার লাইভস্ট্রিম ভিডিও শেয়ার করায় নিউ জিল্যান্ডের এক নাগরিককে ২১ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির একটি আদালত।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 18 June 2019, 09:26 AM
Updated : 18 June 2019, 09:26 AM

ফিলিপ আর্পস নামের এই ব্যক্তি ওই হামলার ভিডিওটি এক বন্ধুসহ ৩১ জনকে পাঠিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে বিবিসি।

বন্ধুকে ভিডিওটি পাঠিয়ে ‘খুনের সংখ্যা’ যোগ করে হালকা পরিবর্তন আনতেও অনুরোধ করেছিলেন আর্পস।

৪৪ বছর বয়সী এ ব্যবসায়ীর মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রতি অন্যায়ের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অনুশোচনা হতো না বলে জানিয়েছেন ক্রাইস্টচার্চ ডিস্ট্রিক্ট আদালতের বিচারক স্টিভেন ও’ড্রিসকল।

তিন মাস আগে ক্রাইস্টচার্চে জুমার নামাজের সময় দুটি মসজিদে এক বন্দুকধারীর নির্বিচার ‍গুলিবর্ষণের ঘটনায় মোট ৫১ জন নিহত হয়েছিল।

ওই ঘটনাটির লাইভস্ট্রিম ভিডিওর সঙ্গে ‘ক্রসহেয়ার’ চিহ্ন ও ‘খুনের সংখ্যা’ যোগ করা একটি পরিবর্তিত ভিডিও শেয়ারের ইচ্ছাও আর্পসের ছিল বলে মামলার শুনানিতে জানা গেছে।

পরিবর্তিত ওই ভিডিওটিকে আর্পস ‘চমৎকার’ হিসেবে বর্ণনা করেছিলেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে নিউ জিল্যান্ড হেরাল্ড।

আর্পসের কর্মকাণ্ডকে ‘বিদ্বেষমূলক অপরাধ’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন বিচারক ও’ড্রিসকল।

তিনি মসজিদে হামলার পর আর্পসের ওই ভিডিও শেয়ারকে ‘নিষ্ঠুর’কাণ্ড হিসেবে অভিহিত করেছেন।

রায়ের আগের প্রতিবেদনে আর্পসের আরও কিছু কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে উদ্বেগ জানানো হলেও অভিযুক্ত ব্যক্তি এসবকে ‘সম্মানের ব্যাপার’ হিসেবে মনে করতে পারে ধারণা থেকে মঙ্গলবার বিচারক সেসব বিষয় জনসম্মুখে বলতে অস্বীকৃতি জানান।

৪৪ বছর বয়সী ব্যবসায়ী আর্পস এপ্রিলেই তার দোষ স্বীকার করে নিয়েছিলেন।

নিউ জিল্যান্ডের এ নাগরিক এর আগে ২০১৬ সালে আল নুর মসজিদে শুকরের মাথা রেখে আসার ঘটনায় অভিযুক্ত হয়েছিলেন।

১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের যে দুটি মসজিদে বন্দুকধারী নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল, আল-নুর তার একটি।

ওই মসজিদ এবং ক্রাইস্টচার্চের লিনউড ইসলামিক সেন্টারে গুলি চালিয়ে হতাহতের ঘটনায় সন্দেহভাজন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারান্টের বিরুদ্ধে ৯২টি অভিযোগ আনা হয়েছে।

চলতি সপ্তাহের শুরুতে ট্যারান্ট সব অভিযোগেই নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন; আগামী বছর থেকে তার বিচার শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।