‘প্রথম মঙ্গলকম্প শনাক্ত’ করেছে নাসার অনুসন্ধানযান

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার রোবোটিক অনুসন্ধানযান ‘ইনসাইট’ প্রথমবারের মতো মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠকম্পন শনাক্ত করেছে বলে ধারণা বিজ্ঞানীদের।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 April 2019, 10:26 AM
Updated : 24 April 2019, 10:26 AM

এবারই প্রথম পৃথিবীর বাইরের কোনো গ্রহের পৃষ্ঠকম্পন মাপা হল, মঙ্গলবার এমনটাই জানিয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি (জেপিএল)।

মঙ্গল গ্রহের অভ্যন্তরীণ গঠন সম্পর্কে ধারণা পেতে পাঠানো যান ইনসাইট ২০১৮-র শেষদিকে লাল গ্রহটিতে অবতরণ করে দুই বছরের মিশন শুরু করেছিল।  

বিবিসি বলছে, মহাকাশযানটির পাঠানো দুর্বল কম্পনকেই ‘মঙ্গলকম্প’ হিসেবে বিবেচনা করছেন জেপিএলের বিজ্ঞানীরা।

৬ এপ্রিল, মঙ্গলে ইনসাইটের ১২৮তম মঙ্গলদিনে (যাকে সল বলা হচ্ছে) রেকর্ড করা ওই কম্পন পৃথিবীর দুই দশমিক ৫ মাত্রার ভূমিকম্পের কাছাকাছি বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

ইনসাইটে স্থাপন করা ফ্রান্সের নির্মিত সিসমোমিটার ওই কম্পন শনাক্ত করে।

“আমরা এখনো কম্পনের পেছনের শব্দ সংগ্রহ করে চলেছি। এ ঘটনা আনুষ্ঠানিকভাবে ‘মঙ্গলের ভূতত্ত্ব’ সংক্রান্ত নতুন একটি ক্ষেত্রের যাত্রা শুরু করলো,” সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমনটাই বলেছেন ইনসাইটের প্রধান অনুসন্ধানকারী ব্রুস বানেট।

নাসার মহাকাশযানটির পাঠানো সংকেতের নানাধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে বলেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

কম্পনের যে সংকেত পাঠিয়েছে ইনসাইট তা ওই গ্রহের ভূ-অভ্যন্তর থেকেই সৃষ্টি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাতাসের মতো ভূপৃষ্ঠের উপরের কোনো শক্তির কারণে এটি হতে পারে- বিজ্ঞানীরা এমন সম্ভাবনাকে বাতিল করেছেন।

“হঠাৎ নড়াচড়ায় যেমনটা হয় তেমনই উচ্চ তরঙ্গ মাত্রা ও ব্রড ব্যান্ডের তথ্য পেয়েছি আমরা। এটা যে মঙ্গলকম্পই ছিল সে বিষয়ে আমরা সুনিশ্চিত,” ইমেইলে বলেছেন ফ্রান্সের প্যারিস দিদেরো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-পদার্থবিদ্যা ও গ্রহবিজ্ঞান বিষয়ের অধ্যাপক ফিলিপ লগনন।  

রোবোটিক মহাকাশযানটি ৬ এপ্রিলের চেয়েও ৫০-১০০ গুণ বড় কম্পনও শনাক্ত করতে পারবে বলে ইনসাইট সিসমোমিটারের প্রধান এ গবেষকের প্রত্যাশা।

নাসা এর আগে তাদের অ্যাপোলো মিশনে করে চাঁদে সিসমোমিটার পাঠিয়েছিল, যা দিয়ে ১৯৬৯ থেকে ১৯৭৭ পর্যন্ত হাজারো ‘চন্দ্রকম্পের’ তথ্য পাওয়া যায়।