নিউ ইয়র্ক পুলিশের বর্ত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ৩৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় ম্যানহটনের ওই ক্যাথলিক গির্জায় প্রবেশ করলে নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে বাধা দেয়।
ওই ব্যক্তি তখন ফিরে যাওয়ার জন্য ঘুরলে তার সঙ্গে থাকা ক্যানেস্তারা থেকে গ্যাসোলিন ছলকে মেঝেতে পড়ে। বিষয়টি দেখে ওই নিরাপত্তাকর্মী পুলিশে খবর দেন।
নিউ ইয়র্ক পুলিশের ইন্টেলিজেন্স ও কাউন্টার টেররিজম বিভাগের উপ কমিশনার জন মিলার জানান, গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তির কাছে চার গ্যালন গ্যাসোলিন, দুই বোতল লাইটার ফ্লুইড পাওয়া গেছে। বিষয়টি যথেষ্ট উদ্বেগজনক।
তবে তার নাশকতার পরিকল্পনা ছিল কি না, এটা সন্ত্রাসবাদের কোনো ঘটনা কি না- এসব প্রশ্নে এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
প্যারিসে ১২ শ শতকের নতর-দাম ক্যাথেড্রাল আগুনে পুড়ে যাওয়ার দুই দিনের মাথায় নিউ ইয়র্কের আরেকটি গির্জায় এভাবে গ্যাসোলিন ও লাইটার নিয়ে প্রবেশের চেষ্টা ‘খুবই সন্দেহজনক’ বলে মনে হয়েছে জন মিলারের কাছে।
গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তি পুলিশকে বলেছেন, তেল ফুরিয়ে যাওয়ায় তার মিনি ভ্যান রাস্তায় আটকে ছিল। সে কারণে তিনি ফিফথ এভিনিউ থেকে গ্যাসোলিন নিয়ে ওই ক্যাথেড্রালের ভেতর দিয়ে ‘শর্টকাটে’ ম্যাডিসন এভিনিউয়ে ফিরছিলেন।
কিন্তু পুলিশ ওই ব্যক্তির গাড়ি পরীক্ষা করে দেখতে পায়, তেল ফুরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি সঠিক নয়। তখনই ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জন মিলার বলেন, “আমরা তার ব্যাকগ্রাউন্ড পরীক্ষা করে দেখছি। তার উদ্দেশ্য কী ছিল তা আমরা এখনও জানি না। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিলের মধ্যে লুইজিয়ানার চারটি গির্জায় আগুনে পুড়ে গেছে, যে উপাসনালয়গুলো মূলত কৃষ্ণাঙ্গ খ্রিস্টানদের নিয়ন্ত্রিত।