গত কয়েক সপ্তাহের গণআন্দোলনের মুখে অবশেষে পদত্যাগে বাধ্য হয়েছেন আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট আব্দেলআজিজ বোতেফ্লিকা।
Published : 03 Apr 2019, 08:17 PM
গত প্রায় ২০ বছর ধরে আলজেরিয়ার প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করে এসেছেন তিনি। গত ফেব্রুয়ারিতে বোতেফ্লিকা পঞ্চম মেয়াদের জন্য প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলে তাকে সরাতে ১ মার্চ থেকে দেশজুড়ে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়।
ওই আন্দোলন থামাতে বাধ্য হয়ে গত ১১ মার্চ তিনি নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দেন। তবে একই সঙ্গে তিনি বিক্ষোভের অজুহাতে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী আগামী ১৮ এপ্রিল ওই নির্বাচনের ভোট হওয়ার কথা ছিল।
বোতেফ্লিকার নির্বাচন স্থগিতের ঘোষণা পুনরায় বিক্ষোভ উস্কে দেয়। এর মধ্যেই গত ২৬ মার্চ সেনাবাহিনী ৮২ বছরের বোতেফ্লিকাকে দেশ শাসনে অনুপযুক্ত ঘোষণা করে তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর দাবি তোলে। দলের ভেতরও তাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ বাড়তে থাকে।
২০১৩ সালে প্রেসিডেন্ট বোতাফ্লিকার স্ট্রোক হয়েছিল। তারপর থেকে তাকে জনসম্মুখে খুব কমই দেখা গেছে। বেশিরভাগ সময় তিনি হুইলচেয়ারে চলাফেরা করেন।
বিবিসি জানায়, এ সপ্তাহে বোতেফ্লিকা তার বর্তমান মেয়াদ শেষ করতে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন; আগামী ২৮ এপ্রিল তার বর্তমান মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু মঙ্গলবার সেনাবাহিনীর প্রধান লেফ্টেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ গায়েদ সালাহ বলেন, “সময় নষ্ট করার আর কোনো সুযোগ নেই।” এর পরই বোতেফ্লিকার পদত্যাগের ঘোষণা এল।
আলজেরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা এপিএসে বুধবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বোতেফ্লিকার পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “দেশের প্রেসিডেন্ট আব্দেলআজিজ বোতেফ্লিকা আনুষ্ঠানিকভাবে সাংবিধানিক কাউন্সিলের প্রেসিডেন্টকে পদত্যাগ করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।”
তাৎক্ষণিকভাবে তার ওই পদত্যাগ পত্র কার্যকর করা হয়েছে বলে রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনের খবরে পরে জানানো হয়েছে।
দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করলে সিনেটের স্পিকার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করে নতুন করে নির্বাচনের আয়োজন করবেন।