শনিবার জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা উদ্ধার পাওয়া শরণার্থীদের বরাত দিয়ে একথা জানিয়েছে।
ইতালির নৌবাহিনী ডুবে যাওয়া নৌকার তিন শরণার্থীকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করার পর ভয়বাহ এ দুর্ঘটনার কথা জানা যায়। বেঁচে ফেরা এ তিন শরণার্থীর দুজন সুদানি এবং একজন গাম্বিয়ার নাগরিক। তারাই ত্রাণকর্মীদেরকে নিহত শরণার্থীদের ওই সংখ্যা জানায়।
সাম্প্রতিক সময়ে এটিই ভূমধ্যসাগরে নৌকা ডুবে শরণার্থীদের প্রাণহানির সবচেয়ে বড় ঘটনা। জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র ফোনে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “নৌকায় ১০জন নারী ছিল বলে আমাদের জানিয়েছেন বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা। সেখানে দুই শিশুও ছিল, একজনের বয়স ছিল মাত্র দুই।
উন্নত জীবনের আশায় আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের শরণার্থীরা লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করে। মানবপাচারকারীদের খপ্পরে পড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ছোট্ট ছোট্ট নৌকায় গাদাগাদি করে সমুদ্র পাড়ি দেয় তারা।
বৃহস্পতিবার রাজধানী ত্রিপলির পশ্চিমের উপকূলীয় শহর গারাবুল্লি থেকে ছোট্ট একটি ঝুঁকিপূর্ণ ডিঙ্গিতে করে রওয়া হয়েছিল ওই শরণার্থীরা। যাত্রার প্রায় ১০ ঘণ্টা পর নৌকা ফুটো হয়ে পানি ঢোকা শুরু হয় এবং এক পর্যায়ে সেটি ডুবে যায়।
ইতালির নৌবাহিনী জানায়, তাদের একটি নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা হেলিকপ্টারযখন নৌকাটি দেখতে পায় তখন সেটি ডুবতে শুরু করেছে। তারা সর্বোচ্চ ২০ জনকে নৌকায় দেখতে পেয়েছিল।
মুমূর্ষু অবস্থায় মাত্র তিনজনকে উদ্ধার করে তারা লাম্পেদুসা দ্বীপে নিয়ে যায়। উদ্ধার ব্যক্তিরা হাইপোথারমিয়ায় ভুগছিল। তাদের শরীরে পোড়া ক্ষত ছিল এবং তারা আতঙ্কিত ছিল বলে জানান উদ্ধারকর্মীরা।