তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাখ লাখ আন্দোলনকারীর সহিংস প্রতিবাদের মুখে প্রধানমন্ত্রী এদুয়া ফিলিপ শিগগিরই ‘মূল্যবৃদ্ধি স্থগিতের’ ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন।
টানা তিন সপ্তাহের ‘ইয়োলো ভেস্ট’ আন্দোলনে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর সরকার এ পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে, জানিয়েছে বিবিসি।
জ্বালানি তেলের ওপর বাড়তি কর আরোপের প্রতিবাদে গত মাসের মাঝামাঝি থেকে এ আন্দোলন শুরু হয়।
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে আয়োজিত এসব প্রতিবাদ বিক্ষোভে ট্যাক্সি চালকদের ব্যবহৃত ইয়েলো ভেস্ট পরে অংশগ্রহণ নিচ্ছে প্রতিবাদকারীরা। এ পর্যন্ত এ ‘ইয়োলো ভেস্ট’ আন্দোলনে অন্তত তিনজন নিহত হয়েছে। আন্দোলনের ডামাডোলে দেশজুড়ে সহিংসতা ও লুটতরাজ চলছে, বেশ কয়েকটি স্থাপনা ও ভাস্কর্যও ভাঙা হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করেও মুখোশ ও হলুদ জ্যাকেট পরিহিত আন্দোলনকারীদের দমানো যায়নি। ধীরে ধীরে এ ‘ইয়োলো ভেস্ট’ আন্দোলন সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশের মঞ্চ হয়ে উঠছে বলে ভাষ্য পর্যবেক্ষকদের।
চরম ডান ও বামপন্থি গোষ্ঠীগুলোর পাশাপাশি সহিংস দুর্বৃত্তরাও এ আন্দোলনে অনুপ্রবেশ করে দাঙ্গা সৃষ্টি করছে বলে ধারণা পুলিশের।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় মঙ্গলবার আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বসতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী ফিলিপ। কিন্তু সোমবারই বিক্ষোভকারীরা ওই বৈঠকে অংশগ্রহণে নারাজি জানায়।
আন্দোলনকারীদের একাংশ বলছেন, তারা কট্টরপন্থি বিক্ষোভকারীদের কাছ থেকে হত্যার হুমকি পেয়েছেন। সরকারের সঙ্গে আলোচনায় বসার ব্যাপারে হুঁশিয়ার করতেই এ হুমকি বলেও মন্তব্য তাদের।
বিবিসি বলছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সহযোগিতায় আন্দোলন ফ্রান্সজুড়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লেও সরকারবিরোধী রাজনৈতিক পরিমণ্ডলেও এটি গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে।
প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর অভিযোগ, তার নেওয়া সংস্কার কর্মসূচিকে বাধাগ্রস্ত করতেই বিরোধীরা এ আন্দোলনকে ‘হাইজ্যাক’ করেছে।