দুই সপ্তাহের মধ্যে ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপণযোগ্য এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র সিরিয়াকে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু।
সিরিয়ায় রাশিয়ার বিমান ভূপাতিত করার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করার এক সপ্তাহের মাথায় এ সিদ্ধান্ত জানাল মস্কো।
শোইগু বলেন, “ইসরায়েলের অনুরোধে ২০১৩ সালে এস-৩০০ সরবরাহ স্থগিত করা হয়েছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি বদলেছে। এটা আমাদের দোষ নয়।”
গত ১৭ সেপ্টেম্বর সিরিয়ায় গুলি করে ভূপাতিত করা একটি রুশ সামরিক নজরদারি বিমানের ১৫ আরোহীর মৃত্যু দায় ইসরায়েলের উপর চাপিয়েছে রাশিয়া।
সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে রুশ বিমানটি ভূমধ্যসাগরে ভূপাতিত হয়েছিল।
এ ঘটনার জন্য রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় অভিযোগ করে বলে, ইসরায়েলের একাধিক জঙ্গি বিমান রাশিয়ার আইএল-২০ বিমানটিকে ঢাল হিসাবে ব্যবহার করে এটিকে সিরিয়ার আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মধ্যে পড়তে বাধ্য করেছে। ওই সময় ইসরায়েল সিরিয়ার লক্ষ্যস্থলগুলোতে বিমান হামলা চালাচ্ছিল। এ হামলা সম্পর্কে তারা মস্কোকে যথেষ্ট সতর্কবার্তা দেয়নি।
তবে ইসরায়েল এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং রাশিয়ার বিমান ভূপাতিত করার জন্য সিরিয়ার সেনাবাহিনীকে পুরোপুরি দায়ী করেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী শোইগু বলছেন, মস্কো অতীতে ইসরায়েলের কথা রেখেছে। কিন্তু গত সপ্তাহে রুশ বিমান ভূপাতিতের ঘটনার পর সিরিয়ায় সেনাদের নিরাপত্তার স্বার্থে রাশিয়া পর্যাপ্ত পাল্টা ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হচ্ছে।
তিনি বলেন, “আধুনিক এস-৩০০ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সিরিয়ার সশস্ত্র বাহিনীকে ২ সপ্তাহের মধ্যেই দেওয়া হবে। এতে করে সিরিয়ার সেনাবাহিনীর লড়াইয়ের সক্ষমতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়বে।”
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জন বোল্টন রাশিয়ার এ পদক্ষেপ সিরিয়ায় ৭ বছরের যুদ্ধ আরো উস্কে দেবে বলে মন্তব্য করেছেন এবং বলেছেন, রাশিয়া তাদের সিদ্ধান্তটি আরেকবার ভেবে দেখবে বলেই তিনি আশা করেন।