মামলা চলাকালীন সময়ে নিজেও হুমকি পেয়েছেন, দাবি টিএস এলিসের।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বিষয়ক তদন্তে ম্যানাফোর্টের বিরুদ্ধে লবিস্ট হিসেবে আয় করা অর্থের কর ফাঁকির অভিযোগ ওঠে। রিপাবলিকান প্রচার শিবিরের সাবেক এ কর্মকর্তা অবশ্য শুরু থেকেই তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো অস্বীকার করে আসছেন, জানিয়েছে বিবিসি।
তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, ইউক্রেইনের রাজনীতিবিদদের কাছ থেকে লবিং বাবদ আয় করা লাখ লাখ ডলারের কর দেননি ৬৯ বছর বয়সী ম্যানাফোর্ট। দোষী সাব্যস্ত হলে ম্যানাফোর্টকে বাকি জীবন কারাগারেই কাটাতে হতে পারে বলেও ধারণা পর্যবেক্ষকদের।
যুক্তিতর্ক শেষে ভার্জিনিয়ার আলেক্সান্দ্রিয়া আদালতের বিচারক এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের ভার ছয় নারী ও ছয় পুরুষ জুরির হাতে ছেড়ে দিয়েছেন।
রায় কী হবে, জুরিদের নিজেদের মধ্যে এ সংক্রান্ত আলোচনার দ্বিতীয় দিনেই তাদের নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানান বিচারক এলিস।
বেশ কয়েকটি মার্কিন গণমাধ্যম জুরিদের নাম জানতে চেয়ে আবেদন করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রে সাধারণত জুরিদের নাম জনসাধারণের জন্য উন্মুক্তই থাকে; তবে কোনো বিচারক চাইলে এ নামগুলো প্রকাশে নিষেধাজ্ঞাও দিতে পারেন।
“এ মামলা যে এতখানি আবেগ জাগিয়ে তুলবে সে বিষয়ে কোনো ধরনের ধারণা ছিল না আমরা। তাদের নাম প্রকাশে ভালো বোধ করছি না। আমি সমালোচনা ও হুমকির শিকার হয়েছি, তারাও হতে পারেন বলেই মনে হচ্ছে,” হুমকির কারণে মার্কিন পুলিশ তার নিজের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে বলেও এলিস জানিয়েছেন।
ম্যানাফোর্টের বিরুদ্ধে চলা এ মামলার ব্যাপারে ফের অসন্তোষ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্প শুক্রবার তার প্রচার শিবিরের সাবেক চেয়ারম্যানকে ‘চমৎকার ব্যক্তি’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন। ম্যানাফোর্টের বিরুদ্ধে চলা এ বিচার প্রক্রিয়াকে ‘দুঃখজনক’ হিসেবেও অভিহিত করেছেন তিনি।