ওয়াশিংটনে কুচকাওয়াজ ‘২০১৯ সাল পর্যন্ত’ স্থগিত করলেন ট্রাম্প

ভেটেরান্স ডে উপলক্ষে নভেম্বরে ওয়াশিংটন ডিসির রাস্তায় সামরিক কুচকাওয়াজের পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছে পেন্টাগন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 August 2018, 07:52 AM
Updated : 17 August 2018, 07:52 AM

রাজধানীতে এ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে আগামী বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগতে পারে বলেও জানিয়েছে তারা।

২০১৭ সালে ফ্রান্স সফরের সময় বাস্তিল দিবসের কুচকাওয়াজ দেখে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রেও এমন আয়োজনের ইচ্ছা পোষণ করেন।

অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র প্রদর্শন ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের শোভাযাত্রাসমৃদ্ধ এ সামরিক কুচকাওয়াজে অনুমানের তিনগুণ, ৯ কোটি ডলারেরও বেশি খরচ হবে বৃহস্পতিবার এক  প্রতিবেদনে এমনটা ধারণা দেওয়ার পরপরই হোয়াইট হাউস এ পরিকল্পনা থেকে সরে আসার কথা জানায় বলে খবর রয়টার্সের।

কুচকাওয়াজ আয়োজনে পরিকল্পনার কথা জানানোর পরপরই এ ধরনের উচ্চাভিলাষী আয়োজনের সমালোচনা শুরু হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনেকেই ভেটেরান্স ডে-তে প্যারেড না করে অবসরপ্রাপ্তদের সরাসরি আর্থিক সাহায্য করারও প্রস্তাব দিয়েছেন। 

স্বৈরতান্ত্রিক দেশগুলোতেই এ ধরনের কুচকাওয়াজ হয় উল্লেখ করে সেসব দেশের শাসকদের সঙ্গে ট্রাম্পের মিল-অমিল নিয়েও অনেকে আলোচনা করছেন।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির শতবর্ষ উপলক্ষে এ বছরের ১১ নভেম্বরে ওয়াশিংটনে এ কুচকাওয়াজ আয়োজনের পরিকল্পনা ছিল।

পেন্টাগনের মুখপাত্র কর্নেল রব ম্যানিং এক বিবৃতিতে জানান, মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও হোয়াইট হাউস ‘২০১৯ সালে কুচকাওয়াজের সুযোগ অন্বেষণে সম্মত হয়েছে’।

ফেব্রুয়ারিত হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলে সামরিক কুচকাওয়াজের বাজেট বিষয়ক পরিচালক ওয়াশিংটনের আয়োজনে ১ থেকে ৩ কোটি ডলার খরচ হতে পারে বলে ধারণা দেন।

যদিও পরে অন্য এক কর্মকর্তা আয়োজনটিতে ৯ কোটি ২০ লাখ ডলারের মতো খরচ হতে পারে বলে জানান।

রাজধানীর সড়কগুলো যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য কুচকাওয়াজে কোনো ট্যাঙ্ক না রাখার চিন্তা করা হয়েছিল বলেও এ সংক্রান্ত এক মেমোর বরাত দিয়ে জানিয়েছে বিবিসি।

কুচকাওয়াজের পরিকল্পনার পরপরই ওয়াশিংটন ডিসির দেখভালকারী কর্তৃপক্ষ ডিস্ট্রিক্ট অব কলম্বিয়া টুইটারে অসন্তোষ জানায়। আপত্তি করেন ডেমোক্রেট সদস্যরাও।

ভেটেরান্স ডে-র কুচকাওয়াজকে ‘অর্থের অহেতুক অপচয়’ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়ে টুইটারে কংগ্রেস সদস্য জিম ম্যাকগোভার্ন বলেছেন, ট্রাম্পের কর্মকাণ্ড যতখানি না প্রেসিডেন্টের তার চেয়েও বেশি স্বৈরশাসকদের মতো হয়ে যাচ্ছে।