এছাড়া, গরমে অসুস্থ হয়ে হাজারের বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম।
সোমবার দেশটির কয়েকটি দ্বীপাঞ্চলে তাপমাত্রা ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গিয়েছিল।রাজধানী টোকিওতে এদিন তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে গত সপ্তাহে বন্যায় দুইশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। বন্যার পরপরই দাবদাহ শুরু হওয়ায় দুর্গত এলাকায় পুনর্বাসন ও ত্রাণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
বিশেষ করে বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর কাদা ও জঞ্জাল পরিষ্কারের কাজ অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ওই এলাকায় গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বন্যা দুর্গত এলাকায় উদ্ধার কাজে অংশ নেওয়া এক ব্যক্তি বলেন, “প্রচণ্ড গরম। একটু পরপর পানি খেয়ে আমরা পরিষ্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।”
জাপানে তাপমাত্র ৩৫ ডিগ্রি বা তার বেশি হলে তা ‘অস্বাভাবিক বেশি তাপমাত্রা’ বলে বিবেচিত হয়।
রোববার দেশটির অন্তত দুইশতাধিক এলাকায় এর বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। জুলাই মাসে যা সাধারণত দেখা যায় না।
এর আগে ২০১৪ সালে জুলাই মাসে জাপানে এত বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল।
জাপানের উপর দিয়ে দুইটি উর্ধ্বচাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে আবহাওয়া এরূপ আকর ধারণ করেছে। যা সপ্তাহ জুড়ে অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া অধিদপ্তর।