মানুষের প্রতিবাদে গরুর মৃত্যুদণ্ড রদ

অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মৃত্যুদণ্ডই হতে যাচ্ছিল পেনকার, কিন্তু মানুষের প্রতিবাদে রক্ষা পেল গরুটি।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 June 2018, 04:29 AM
Updated : 17 June 2018, 04:29 AM

ইউরোপে শোরগোল ফেলা পেনকার বেঁচে যাওয়ার খবর এসেছে রয়টার্সসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে।

পেনকা নামে এই গরুটি বুলগেরিয়ার ছোট্ট গ্রাম কোপিলোভৎসির। গত মাসে ঘাস খেতে খেতে কখন যে এটি দেশের সীমানা ছাড়িয়ে সার্বিয়ায় ঢুকে পড়েছিল, টেরই পায়নি। টের পাওয়ার কথাও না, কারণ দেশের এই সীমানা তো মানুষের তৈরি, পশুরা তৈরি করেনি।

গর্ভবতী গরুটির খোঁজ পেয়ে সার্বিয়া প্রশাসন যোগাযোগ করে বুলগেরিয়ার সঙ্গে; খবর যায় এর মালিক রাইনা জর্জিভার কাছেও। সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে পেনকা ফেরত আসে নিজের দেশে।

কিন্তু তারপরই ঘটে বিপত্তি; ইউরোপীয় ইউনিয়নের আইন মেনে চলার বাধ্যবাধকতায় গরুটিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করায় বুলগেরিয়া সরকার।

পেনকার অপরাধ শুধু সীমান্ত পেরোনোতে সীমাবদ্ধ রইল না; আন্তর্জাতিক আইন ভাঙার খড়গও তার মাথায় চড়ল। সার্বিয়া ইইউর সদস্য নয়, কিন্তু বুলগেরিয়া সদস্য, তাই আইন মেনে গরুটিতে শুলে চড়ানোর তোড়জোড় শুরু হল।

কিন্তু প্রতিবাদে সরব হল পশু অধিকারকর্মীরা। পেনকার প্রাণরক্ষায় অনলাইনে একের পর এক আবেদন আসতে থাকে। দেশ-বিদেশের পশুপ্রেমী সংগঠনের সঙ্গে মাঠে নামেন বিটলস তারকা পল ম্যাকার্টনিও।

ব্যাপক শোরগোলের পর ঘরে-বাইরে চাপের মুখে পড়ে পেনকার মামলাটি পুনর্বিবেচনায় রাজি হয়েছে বুলগেরিয়ার খাদ্য নিরাপত্তা সংস্থা, মুক্তি পেতে যাচ্ছে গরুটি। জর্জিভা দম্পতিও এখন তাদের গরুটির ঘরে ফেোর অপেক্ষায় রয়েছেন।

পেনকা বেঁচে গেলেও পশুপ্রেমী সংগঠন ‘ফোর পজ’ বলছে, “এভাবে পশুদের হত্যা করা নৃশংসতা। আইনে যে ফাঁক রয়েছে, এ বার তা দূর হওয়া দরকার।”