ইয়েস এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে দেশ ছেড়ে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি দিয়েছিলেন ১৭ বছর বয়সী সাবিকা। কিন্তু স্বপ্ন ভঙ্গ হয় সেখানেই।
গত শুক্রবার টেক্সাসের সান্তা ফে হাইস্কুলে বন্দুক হামলায় নিহত আট শিক্ষার্থী ও দুই শিক্ষকের মধ্যে রয়ে যান সাবিকা।
বুধবার ভোররাতের দিকে সাবিকার মৃতদেহ করাচি বিমানবন্দরে পৌঁছায়। তার শেষকৃত্যে কয়েকজন রাজনীতিবিদ উপস্থিত ছিলেন।
সন্দেহভাজন হামলাকারী ১৭ বছরের দিমিত্রিওস পাগু্র্তজির বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মুসলিমদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ঈদ-উ-ফিতর উপলক্ষ্যে সপ্তাহ দুই-তিনের মধ্যে সাবিকার পাকিস্তানে আসার কথা ছিল। সাবিকা এলেন ঠিকই তবে কফিনবন্দি হয়ে।
পাকিস্তানকে নিয়ে বিদেশে নেতিবাচক ধারণা বদলে দিতে চেয়েছিলেন সাবিকা। চেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আর পকিস্তানের সম্পর্ক আরো মজবুত করতে। এক বছর পরই তার গ্রাজুয়েশন শেষ হওয়ার কথা ছিল।
সাবিকা ভবিষ্যতে কূটনীতিক বা প্রশাসনিক কাজে জড়িত হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তা আর হয়ে উঠল না।
সাবিকার বাবা চান তার মেয়ের মৃত্যু যেন বৃথা না যায়। এ ঘটনা যেন যুক্তরাষ্ট্রে অস্ত্র আইন পরিবর্তনের দাবিকে আরও জোরদার করে।