মঙ্গলবার পূর্বাঞ্চলীয় পালমিরার কাছে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস ও ওই এলাকা থেকে আসা বাসিন্দারা জানিয়েছে, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
জঙ্গিরা ওইদিন ভোররাতে প্রাচীন রোমান শহর পালমিরার দক্ষিণ-পূর্বে একটি বাঁধের কাছে আত্মঘাতী বোমারু ও সাঁজোয়া যান ব্যবহার করে হামলাটি চালায়।
এর আগের দিন সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের দক্ষিণাঞ্চলে আইএসের শেষ ছিটমহল থেকে জঙ্গিদের তাড়িয়ে দিয়েছিল সরকারি বাহিনী। এর আগে ছিটমহলটিতে কয়েক সপ্তাহ ধরে টানা বোমাবর্ষণ করেছিল তারা।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে আইএস এ পর্যন্ত দুইবার ইউনেস্কো ঘোষিত ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইট পালমিরা দখল করেছে এবং অনেক অমূল্য নিদর্শন ধ্বংস করেছে।
পালমিরার নিকটবর্তী হমস প্রদেশের পূর্বাঞ্চলীয় একটি গ্রামের সাবেক বাসিন্দা, যার সঙ্গে স্থানীয়দের যোগাযোগ রয়েছে, জানিয়েছেন, জঙ্গিরা একসময় তাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিশাল বিস্তৃত মরুভূমির গুপ্ত আশ্রয়স্থলগুলো থেকে এসে হামলাটি চালিয়েছে।
এতে অন্তত ৩০ সৈন্য ও মিলিশিয়া বাহিনীর সদস্য নিহত হয়েছেন।
সরকার বিরোধী আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, ওই এলাকার ভূমিরূপের কারণে সেনাবাহিনীর পক্ষে সুরক্ষিত থাকা কঠিন, সম্প্রতি এর সুযোগ নিয়ে জঙ্গিরা হিট-এন্ড-রান আক্রমণের সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে, সৈন্যদের অস্ত্র ও রসদ কেড়ে নিতে চোরাগোপ্তা হামলার ওপর নির্ভর করছে তারা।
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী গোষ্ঠী যুক্তরাজ্যভিত্তিক সিরিয়ান অবজারভেটরি জানিয়েছে, এ হামলায় সিরিয়ার সরকারি বাহিনীর পক্ষ হয়ে লড়াই করা অন্তত ২৬ জন নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১৭ জন বিদেশি, যাদের মধ্যে ইরানিরাও রয়েছেন।
সরকারপন্থি একটি সামাজিক যোগাযোগ সাইট নিহত অথবা আহত এমন ১৬ জন কর্মকর্তা ও সৈন্যের একটি তালিকা দিয়ে বলেছে তারা নিহত অন্যান্যদের নামগুলো যাচাই করে দেখছে।
গত বছর ইউফ্রেতিস নদীর উপত্যকার বেশিরভাগ অঞ্চল থেকে আইএসকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। এক সময় সিরিয়ার বিশাল অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করা আইএস এখন শুধুমাত্র পূর্বাঞ্চলীয় দুটি অবরুদ্ধ মরুভূমির নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে।
২০১৪ সালে গোষ্ঠীটি প্রতিবেশী ইরাকেরও এক-তৃতীয়াংশ দখল করে নিয়েছিল; গত বছর সেখানেও তারা বড় ধরনের পরাজয় বরণ করেছে।