এতে করে কূটনীতিকরা যেসব শহরে কাজে নিয়োজিত রয়েছেন সেখানকার ৪০ কিলোমিটারের মধ্যেই তাদেরকে থাকতে হবে। এর বাইরে তারা যেতে পারবেন না। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মঙ্গলবার একথা জানিয়েছেন।
পাকিস্তানে নিয়োজিত মার্কিন কূটনীতিকদের ওপর একই ধরনের কড়াকড়ির জবাবেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। ‘ভয়েস অব আমেরিকা’র উজবেক সার্ভিসে এক সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তরের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি থমাস শ্যানন।
পাকিস্তানের ‘দ্য ডন’ পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন সম্প্রতি পাকিস্তানকে জানিয়েছে যে, ১ মে থেকে ওয়াশিংটনে পাকিস্তানের দূতাবাস এবং অন্যান্য শহরের কনস্যুলেটগুলোতে নিয়োজিত পাকিস্তানি কূটনীতিকরা অনুমতি ছাড়া তাদের কার্যালয় থেকে ৪০ কিলোমিটারের বেশি দূরে যেতে পারবেন না।
এ নোটিশ অনুযায়ী, কূটনীতিকদেরকে শহরের ৪০ কিলোমিটারের বেশি দূরে যেতে হলে অন্তত পাঁচদিন আগে অনুমতি নেওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে।
ইসলামাবাদও পাকিস্তানে থাকা মার্কিন কূটনীতিকদের ওপর আগে থেকেই একইরকম কড়াকড়ি আরোপ করে রেখেছে বলেও পাকিস্তানকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
পাকিস্তান মার্কিন কূটনীতিকদেরকে আদিবাসী এলাকা কিংবা করাচিতে যেতে দিচ্ছে না। তবে পাকিস্তানের দাবি, কড়াকড়ি নয় বরং নিরাপত্তাজনিত কারণে এবং মার্কিন কূটনীতিকদের সুরক্ষার কথা ভেবেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ওদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্রদপ্তরের রাজনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি থমাস শ্যাননও পাকিস্তানি কূটনীতিকদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের কড়াকড়ির বিষয়টিকে খুব বেশি গুরুত্ব না দিয়ে বলেছেন, “এ ধরনের পদক্ষেপ পারষ্পরিক। কূটনৈতিকভাবে এটি খুবই সাধারণ একটি ব্যাপার।”