এফবিআইয়ের উপপরিচালক ম্যাকেবি বরখাস্ত

মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা এফবিআইয়ের উপপরিচালক অ্যান্ড্রু ম্যাকেবিকে বরখাস্ত করেছেন।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 March 2018, 05:26 AM
Updated : 17 March 2018, 05:47 AM

ম্যাকেবির বিরুদ্ধে আগে থেকেই রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে আসছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প; অভ্যন্তরীণ তদন্তের সূত্রে শুক্রবার এফবিআইয়ের এ উপপ্রধানকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে খবর বিবিসির।

বরখাস্ত হওয়ার সময় ছুটিতে ছিলেন ম্যাকেবি; চলতি বছরের জানুয়ারিতে নিজে থেকেই উপপরিচালকের পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন এ কর্মকর্তা।

ম্যাকেবি সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের ইমেইল কেলেঙ্কারি ও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ সংযোগের তদন্তের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত ছিলেন।

পেনশন সুবিধাসহ অবসরের সুযোগ পাওয়ার অপেক্ষা থাকা এ এফবিআই কর্মকর্তা তার ৫০তম জন্মদিনের মাত্র দুই দিন আগেই বরখাস্ত হওয়ার খবর পেলেন।

‘অনুমোদিত নয় এমন তথ্য সংবাদ মাধ্যমের কাছে দিয়েছিলেন’ অভ্যন্তরীণ তদন্তে ম্যাকেবির বিরুদ্ধে এ অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরই ট্রাম্প প্রশাসন এ পদক্ষেপ নিল বলে বিবিসির প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।

শুক্রবার পরের দিকে দেওয়া এক বিবৃতিতে অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনসও এফবিআই কর্মকর্তাকে বরখাস্তের পেছনে বিভাগীয় তদন্তের কথা জানান।

“ইন্সপেক্টর জেনারেলের প্রতিবেদন, পেশাদারি দায়িত্ব বিষয়ে এফবিআই দপ্তরের দেওয়া তথ্য এবং বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে ম্যাকেবিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করতে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে,” বলেন সেশনস।

ম্যাকেবি বরখাস্তের এ ঘটনাকে তার ‘সক্ষমতার ওপর আক্রমণ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সম্মানহানির বিস্তৃত চেষ্টার অংশ হিসেবেই তাকে পদচ্যুত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ এফবিআই উপপ্রধানের। 

গত বছর এফবিআই প্রধান জেমস কোমিকে বরখাস্তের পর নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও নানান ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হওয়ার কারণেই এ খড়্গ নেমে এসেছে বলেও ধারণা তার।

পররাষ্ট্র মন্ত্রীর দায়িত্বে থাকার সময় হিলারির ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে ইমেইল পাঠানোর ঘটনার তদন্তে অসন্তুষ্ট হয়ে ট্রাম্প গত জুলাইকে কোমিকে বরখাস্ত করেছিলেন।

যদিও ডেমোক্রেটদের ভাষ্য, ২০১৬-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান শিবিরের সঙ্গে রাশিয়ার সম্ভাব্য যোগাযোগ নিয়ে তদন্ত চালাতে গিয়েই এফবিআই প্রধানকে শাস্তি পেতে হয়েছিল।