যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের বরাতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ ডিসেম্বর চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের জানিয়েছিলেন ফিলি এবং তার এই পদত্যাগের সঙ্গে আফ্রিকার দেশগুলো ও হাইতি নিয়ে করা ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যের কোনো সম্পর্ক নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর মেরিন কোরের সাবেক হেলিকপ্টার পাইলট পেশাদার কূটনীতিক ফিলি মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লাতিন আমেরিকা বিশেষজ্ঞদের অন্যতম এবং এর সর্বজ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের একজন।
তিনি পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, তিনি এমন এক অবস্থানে পৌঁছেছেন যেখান থেকে ট্রাম্পের অধীনে আর কাজ করতে পারবেন না বলে অনুভব করছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, শুক্রবার নিজের পদত্যাগপত্রে ফিলি বলেছেন, “পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন কনিষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে আমি প্রেসিডেন্ট ও তার প্রশাসনকে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত হয়ে বিশ্বস্ততার সঙ্গে সেবা করার শপথ নিয়েছিলাম, এমনকি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুসৃত কোনো নীতির সঙ্গে একমত না হলেও তা পালন করবো বলে অঙ্গীকার করেছিলাম।
“আমার প্রশিক্ষকরা পরিষ্কার করে জানিয়েছিলেন, যদি কখনো মনে করি আমি তা করতে পারবো না, তাহলে পদত্যাগ করাই ঠিক হবে। এখন সেই সময় এসেছে।”
যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র ফিলির চাকরি ছাড়ার কথা জানিয়ে বলেছেন, “ব্যক্তিগত কারণে চলতি বছরের ৯ মার্চ থেকে তিনি চাকরি থেকে অবসর নিচ্ছেন এবং এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে হোয়াইট হাউস, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পানামা সরকারকে অবহিত করেছেন।”
এক সংবাদ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি স্টিভ গোল্ডস্টেইন জানিয়েছেন, ট্রাম্পের কথিত ‘নোংরা কথা’ ব্যবহারের আগেই বৃহস্পতিবার সকালে ফিলির চাকরি ছাড়ার পরিকল্পনার বিষয়টি জেনেছেন তিনি।
ফিলি ‘ব্যক্তিগত কারণে’ চাকরি ছাড়ছেন বলে জানিয়েছেন গোল্ডস্টেইন।
দীর্ঘদিন কাজ করার পর ফিলি কেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চাকরি ছাড়ছেন তা নিয়ে আলোচনা করতে রাজি হননি যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। এই চাকরি জীবনের অধিকাংশ সময় ফিলি লাতিন আমেরিকার ইস্যুগুলো নিয়েই কাজ করেছেন।
ট্রাম্পের গৃহীত বেশ কিছু নীতি লাতিন আমেরিকার প্রতি শত্রুতামূলক বলে মনে করছেন ওই এলাকার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।