দ্বীপটিতে মার্কিন সেনাঘাঁটি থাকা ছাড়াও বিপুল সংখ্যক মার্কিন সেনা মোতায়েন আছে।
গত কয়েক বছর ধরে সেখানে সামরিক দুর্ঘটনা এবং মার্কিন সেনাদের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের কারণে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
গত শনি এবং সোমবার ওকিনাওয়ায় দুটি মার্কিন সামরিক হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণসহ আরো কয়েকটি দুর্ঘটনার পর মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাটিস জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইৎসুনোরি ওনোদেরার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন।
মঙ্গলবার জাপানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসুনরি অনোডেরা বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ম্যাটিস দুইটি সেনা হেলিকপ্টারের জরুরি অবতরণের ব্যাখ্যা দিয়েছেন এবং একের পর এক দুর্ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।”
“যুক্তরাষ্ট্র পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে বুঝতে পারছে এবং এরকম একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভবিষ্যতে আরো মনযোগী হবে বলে তিনি আমাকে কথা দিয়েছেন।”
গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের একটি যুদ্ধ হেলিকপ্টার ওকিনাওয়া দ্বীপের একটি হোটল প্রাঙ্গণে জরুরি অবতরণ করে।
এর দুই দিন আগে শনিবার একই ধরনের আরেকটি হেলিকপ্টার ওকিনাওয়া সৈকতে জরুরি অবতরণ করে। যদিও উভয় ঘটনাতেই কেউ হতাহত হয়নি।
এর আগে গত মাসে ওকিনাওয়ার ফুতেনমা বিমান ঘাঁটির কাছে একটি স্কুলের খেলার মাঠে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক হেলিকপ্টারের জানালা ভেঙে পড়ে।
আর নভেম্বরে দ্বীপটিতে মার্কিন এক সামরিক কর্মকর্তার গাড়ি বিধ্বস্ত হয়। ওই কর্মকর্তা মাতাল অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ আছে।
এর আগের মাসে অক্টোবরে একটি সামরিক হেলিকপ্টার দ্বীপটির একটি ফাঁকা মাঠে অবতরণ করার পর আগুন ধরে বিস্ফোরিত হয়।