থাইল্যান্ডে পুরুষাঙ্গ ফর্সা করার হিড়িক

‘পুরুষাঙ্গ’ ফর্সা করতে হাসপাতালে ছুটছেন থাইল্যান্ডের পুরুষরা। লেলাক্স হাসপাতাল এ সেবা দিচ্ছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 7 Jan 2018, 12:36 PM
Updated : 1 March 2018, 06:40 PM

হাসপাতালটির মার্কেটিং ম্যানেজার পপল টানসাকুল বিবিসি’কে জানান, মাত্র চারমাস আগে এ হাসপাতালে থাই নারীদের জননাঙ্গ ফর্সা করা শুরু হয়। এরপর অনেক আগ্রহী পুরুষও এখানে আসতে শুরু করলে একমাস পর তাদের জন্য এ সেবা চালু করা হয়।

গায়ের রঙ ফর্সা করার চেষ্টা এশিয়ার দেশগুলোতে নতুন কোনো ব্যাপার নয়। কিন্তু থাই পুরুষদের পুরুষাঙ্গ ফর্সা করার সাম্প্রতিক এ হিড়িকে দেশটির 'বিউটি ইন্ডাস্ট্রি' সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

লেজার পদ্ধতিতে এ চিকিৎসা করা হয়। লেজারের মাধ্যমে ত্বকের মেলানিনকে ধ্বংস করে তা ফর্সা করা হয়। পদ্ধতিটি ব্যাখ্যা করে ক্লিনিক থেকে ফেইসবুকে দেওয়া একটি পোস্ট দু’দিনেই ১৯ হাজার বার শেয়ার হয়েছে। জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এ চিকিৎসা।

সংবেদনশীল জায়গায় এ পদ্ধতিতে চিকিৎসার ক্ষেত্রে অনেক বিপদের ঝুঁকি থাকলেও প্রচেষ্টা থেমে নেই। মাসে গড়ে ২০-৩০ জন রোগী এ সেবা নিতে হাসপাতালে যাচ্ছেন। কম্বোডিয়া, মিয়ানমার এবং ফিলিপাইন থেকেও অনেকে আসছেন। যৌনাঙ্গের রঙ ফর্সা করতে পাঁচটি সেশনের জন্য খরচ পড়ে ৬৫০ মার্কিন ডলার।

এভাবে পুরুষাঙ্গ ফর্সা করা একজনের সঙ্গে কথা বলেছে বিবিসি’র থাই সার্ভিস। ওই ব্যক্তি যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, সুইমিং কস্টিউম পরে সাঁতারে যাওয়ার সময় তিনি আরো বেশি আত্মবিশ্বাসী বোধ করার জন্যই এটি করেছেন।

লেলাক্স হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার মিস্টার পপল জানান, "বিশেষ করে সমকামী এবং 'ট্রান্সভেস্টাইটেস' মানুষদের মধ্যেই এ চিকিৎসা বেশি জনপ্রিয়। তারা শরীরের সব অংশকে আকর্ষণীয় রাখতে চায়।"

তবে থাইল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে পুরুষাঙ্গ ফর্সা করার চেষ্টার বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা দিয়ে বলেছে, এর কোনো প্রয়োজন নেই। এর ফলে শরীরে নানা ধরণের উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ব্যাথা, ফুলে যাওয়া, জ্বালাপোড়া এবং চিকিৎসা বন্ধ রাখলে বিশ্রী দাগ পড়াসহ আরো অনেক গুরুতর সমস্যা দেখা দেওয়ার আশংকা আছে।

মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ড: থোংচাই কিরাটিহুত্যাকর্ণ এক বিবৃতিতে বলেছেন, “লেজার দিয়ে পুরুষাঙ্গ ফর্সা করা কেবল অর্থেরই অপচয়ই নয় বরং ভালোর চেয়ে এটি মন্দই করবে বেশি।"