সোমবার এ ঘটনার সময় মার্কিন সেনা সদস্যরা তার দিকে গুলি ছোড়ে। ওই ব্যক্তি সামান্য আহত হয়েছেন। তার শরীর নানা জায়গায় কেটে-ছিঁড়ে গেছে। তাকে কাস্টডিতে নিয়েছে সাফেক পুলিশ।
ঘটনার খবর পেয়েই পুলিশ সাফেক মিল্ডেনহল বিমানঘাঁটি (আরএএফ) এলাকা ঘিরে ফেলে এবং সব ধরনের চলাচল বন্ধ করে দেয়। ঘটনাটিকে গুরুতর বলেই মনে করছে পুলিশ।
যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গোলযোগের খবর পেয়ে’ জিএমটি ১৩:০০টার দিকে বিপুল সংখ্যক পুলিশ বিমানঘাঁটিটি ঘিরে ফেলে এবং চলাচল বন্ধ করে দেয়।
তবে কিছু সময় পর এলাকাটি আবারও খুলে দেওয়া হয়েছে। “এই মাত্র তারা আমাদের স্বাভাবিকভাবে চলা ফেরার অনুমতি দিয়েছে,” বলেন মার্কিন সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র।
ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস থেকে এখনও কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
মিল্ডেনহল বিমানঘাঁটি পাহারায় নিয়োজিত রয়েছে প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয়ের পুলিশসহ মার্কিন সশস্ত্র রক্ষীরা।
যুক্তরাজ্যে এই ঘাঁটিটি যুক্তরাষ্ট্রের একটি পরিবহণ কেন্দ্র হিসাবেও ব্যবহার হয়। এখানে আছে প্রায় ৩ হাজার ২শ’ সামরিক কর্মকর্তা। তাছাড়া, ৪শ থেকে ৫শ’ ব্রিটিশ বেসমরিক কর্মচারীও রয়েছে এ ঘাঁটিতে।
ঘাঁটিটি এর আগেও সন্ত্রাসী হামলার টার্গেট হয়েছে। ঘাঁটির মার্কিন সামরিক কর্মকর্তারাই ছিলেন হামলার লক্ষ্য।
২০১৬ সালের মে মাসে এ ঘাঁটিতে সন্ত্রাসী হামলার প্রস্তুতি নেওয়ার অভিযোগে জুনায়েদ খান নামের একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। জুনায়েদ পন্য সরবরাহের কাজে গাড়ির চালক হিসাবে ঘাঁটিটি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ আছে।