শনিবার সকালে তিনি প্যারিস পৌঁছান বলে ফরাসি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
এর আগে শুক্রবার গভীর রাতে তিনি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে ব্যক্তিগত জেট বিমানে করে স্ত্রীসহ প্যারিসের পথে রওনা হয়েছিলেন বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছিল।
সাদকে প্যারিসের বিমানবন্দর ছেড়ে যেতে দেখা গেছে বলে ফরাসি টেলিভিশন স্টেশন বিএফএম টিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্যারিসে সাদ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার ম্যাক্রোঁ জানিয়েছিলেন, তিনি শনিবার প্যারিসে সাদ হারিরিকে লেবাননের প্রধানমন্ত্রী হিসেবেই স্বাগত জানাবেন।
আসছে ‘দিন বা সপ্তাহগুলোতে’ সাদ বৈরুতে ফিরে যাবেন এমন আশাও প্রকাশ করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।
সৌদি আরব সফরে গিয়ে ৪ নভেম্বর সাদ হঠাৎ করেই রিয়াদ থেকে দেওয়া এক টেলিভিশন ঘোষণায় লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এতে মধ্যপ্রাচ্যের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ সৌদি আরব ও ইরানের দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে লেবাননেও রাজনৈতিক সঙ্কট শুরুর আশঙ্কা দেখা দিয়েছিল।
পদত্যাগের ঘোষণায় নিজের প্রাণনাশের আশঙ্কা প্রকাশ করে সাদ এর জন্য ইরান ও লেবাননের শিয়া রাজনৈতিক গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে দায়ী করেছিলেন।
কিন্তু লেবাননে না ফেরা পর্যন্ত তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হবে না বলে ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট মিশেল আউন।
এরপর বেশ কয়েকদিন পার হওয়ার পরও লেবাননে না ফেরায় ও প্রকাশ্যে না আসায় সৌদি আরব তাকে জিম্মি করে রেখেছে বলে অভিযোগ করে লেবানন। এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে এক টুইটে তাকে জিম্মি করে রাখার দাবিকে ‘মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেন সাদ। সৌদি আরবও অভিযোগ অস্বীকার করে।
টেলিফোনে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গে কথা বলার পর বুধবার ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়ের ম্যাক্রোঁ বলেছিলেন, তিনি সাদ ও তার পরিবারকে প্যারিসে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
প্যারিসে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর সাদ আরও কয়েকটি আরব দেশের রাজধানী সফর করবেন বলে খবর হয়েছে। এরপর তিনি লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ফিরতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সাদের ফ্রান্স সফর লেবাননকে ঘিরে দুই আঞ্চলিক পরাশক্তি সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যকার উত্তেজনা কিছুটা কমিয়ে আনতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়া লেবাননের প্রধানমন্ত্রীর চলাচল যে সীমিত নয়, সাদ সৌদি আরব ত্যাগ করলে তা বোঝা যাবে; ফরাসী কূটনীতিকদের এমন ভাষ্যের মধ্যেই প্যারিসে পৌঁছালেন সাদ।