একত্রিশ বছর বয়সী এই জেবাস্টিয়ান কুর্তস হতে চলেছেন অস্ট্রিয়ার নতুন চ্যান্সেলর, সেই সঙ্গে বিশ্বের তরুণতম রাষ্ট্রনায়ক।
বিবিসির খবরে বলা হচ্ছে, কুর্তস নেতৃত্বাধীন রক্ষণশীল পিপলস পার্টি রোববারের সাধারণ নির্বাচনে জয় পেতে চলেছে বলেই বুথফেরত জরিপে আভাস মিলেছে।
বয়সের কারণে অস্ট্রিয়ার রাজনীতিতে কুর্তসকে তুলনা করা হয় ফরাসি নেতা ইমানুয়েল ম্যাঁক্রো আর কানাডার জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে। পার্থক্যটা হল, ম্যাঁক্রো বা ট্রুডোর মত কুর্তস উদারপন্থি নন।
প্রাথমিক ফলাফল বলছে, অস্ট্রিয়ার নির্বাচনে পিপলস পার্টি ৩১ শতাংশ আসন জিতে সবার চেয়ে এগিয়ে থাকতে পারে। তবে সরকার গঠনের জন্য প্রয়োজনীয় আসন তাতে হবে না। সেক্ষেত্রে কুর্তসের দল শেষ পর্যন্ত অভিবাসনবিরোধী ডানপন্থি দল ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে জোট বাঁধতে দেখা যেতে পারে।
সেই শরণার্থী সঙ্কট আর অভিবাসী প্রশ্নে কট্টর অবস্থানই কুর্তসের দলকে এবারের নির্বাচনে সাফল্য এনে দিয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মত।
বয়সে নবীন হলেও ইউরোপের রাজনীতিতে কুর্তস অপরিচিত নন মোটেও। ২০১৩ সালে ২৭ বছর বয়সে তিনি যখন অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন, ওই পদে তিনিই ছিলেন ইউরোপের তরুণতম নেতা।
রক্ষণশীল এই রাজনীতিবিদ ২০১০-১১ সালে ভিয়েনা সিটি কাউন্সিলেরও সদস্য ছিলেন। সেখানে তিনি পেনশন আর সব প্রজন্মের জন্য সমান সুযোগ তৈরির ওপর জোর দেন।
যুক্তরাজ্যের ইনডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, এখনও অবিবাহিত কুর্তস প্রেম করছেন অস্ট্রিয়ার অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মী জুজান থিয়েরের সঙ্গে। তাদের যখন প্রথম দেখা হয়, কুর্তসের বয়স তখন ১৮।
কুর্তসের রাজনীতির হাতেখড়ি হয়েছিল পিপলস পার্টি যুব শাখায়। আর ২০১৩ সালের নির্বাচনে তিনি ছিলেন সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচিত হওয়া এমপি।
বিবিসি লিখেছে, ফ্রান্সের ম্যাঁক্রোর মত কুর্তসও তার চারপাশে উদ্দিপ্ত কর্মীদের একটি বলয় তৈরি করতে পেরেছেন।
তিন দশকের বেশি সময় ধরে বিভিন্ন সরকারের জোটে থাকা ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্র্যাটিক আদর্শের মধ্য ডানঘেঁষা পিপলস পার্টিকে কুর্তস পরিচিত করে তুলেছেন ‘নতুন পিপলস পার্টি’ হিসেবে।
রোববার ভোটের রাতে জয়ের সুবাস পাওয়ার পর সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেছেন, “দেশকে আজ বদলে দেওয়ার সময় এসেছে। আজ আমরা রায় পেয়েছি, এই দেশকে বদলে দিতে হবে। যাদের জন্য এটা সম্ভব হয়েছে, তাদের সবাইকে ধনবাদ জানাই।”