আরও কড়া ভাষায় হুমকি দিতে শুরু করেছে উত্তর কোরিয়া। এবার পরমাণু অস্ত্র হামলা করে জাপানকে সমুদ্রে ডুবিয়ে দেওয়া এবং যুক্তরাষ্ট্রকেও ‘ছাই করে দিয়ে অন্ধকারে পর্যবসিত’ করার হুমকি দিয়েছে পিয়ংইয়ং।
Published : 14 Sep 2017, 07:38 PM
সর্বশেষ পারমাণবিক পরীক্ষার জেরে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপের জবাবে উত্তর কোরিয়া দেশ দু’টিকে এ হুমকি দিয়েছে।
কোরিয়া এশিয়া-প্যাসিফিক পিস কমিটির একটি বিবৃতি উদ্ধৃত করে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র-পরিচালিত সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ এ হুমকি প্রচার করেছে।
উত্তর কোরিয়ার বৈদেশিক সম্পর্ক ও প্রচারণার বিষয়টি তদারককারী ওই পিস কমিটি তাদের বিবৃতিতে বলেছে, “উত্তর কোরিয়ার কাছে জাপানে আর থাকার কোনও দরকার নেই। জাপানের চারটি বৃহৎ দ্বীপকে পরমাণু বোমা মেরে সমুদ্রে ডুবিয়ে দেওয়া উচিত।”
ক্ষুব্ধ কমিটি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ভেঙে দেওয়ারও আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে এ পরিষদকে যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশে পরিচালিত দেশগুলোর ঘুষের অর্থে গড়ে ওঠা ‘শয়তানের হাতিয়ার’ আখ্যা দিয়েছে।
গত ৩ সেপ্টেম্বর উত্তর কোরিয়ার হাইড্রোজেন বোমা পরীক্ষা চালানোর পর কোরিয়া উপদ্বীপে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
এর জেরে গত সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে উত্তর কোরিয়ার ওপর নতুন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এ নিষেধাজ্ঞার আওতায় উত্তর কোরিয়ার বস্ত্র রপ্তানি ও অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানির ওপর বাধা-নিষেধ আরোপ করা হয়।
কড়া ভাষায় এ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। সমালোচনায় উত্তর কোরিয়া বলেছে, “আত্মরক্ষার আইনি আধিকার থেকে উত্তর কোরিয়াকে বঞ্চিত করা এবং পুরোদস্তুর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে দেশটিসহ এর জনগণকে টুঁটি চেপে মেরে ফেলার লক্ষ্যে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।”
আর এরপরই আরও কড়া ভাষায় পারমাণবিক বোমা মেরে জাপানকে ডুবানোসহ যুক্তরাষ্ট্রকে ছাই করে দেওয়া এবং অন্ধকারে নিমজ্জিত করার হুমকি দিল দেশটি।
উত্তর কোরিয়ার এ হুমকি কোরিয়া উপদ্বীপে চলমান উত্তেজনা আরও বাড়াবে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
উত্তর কোরিয়ার বিবৃতিকে কঠোর ভাষায় সমালোচনা করেছে জাপান। দেশটির চীফ কেবিনেট সেক্রেটারি ইয়োহিশিদা সুগা সাংবাদিকদের বলেছেন, “উত্তর কোরিয়ার এ হুমকি একটি ন্যক্কারজনক উস্কানি। এতে করে আঞ্চলিক উত্তেজনা কেবল বাড়বে। এ ধরনের উস্কানি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।”
উত্তর কোরিয়া এর আগে নতুন জাতিসংঘ নিষেধাজ্ঞার জবাবে তাদের পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি দ্বিগুণ বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সঙ্গে পাল্লা দিতে পরমাণু অস্ত্র ও ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়ন কাজ বাড়ানো এ ঘোষণা দেয় পিয়ংইয়ং।