যুক্তরাষ্ট্রে ওহাইওর একটি হাসপাতালে বৃহস্পতিবার ৯৫ বছর বয়সে মারা যান জন গ্লেন। মহাকাশ অভিযানের এই পথিকৃতকে ‘ওয়ার্ল্ড আইকন’ আখ্যা দিয়েছেন আলড্রিন।
এনডিটিভি জানায়, অসুস্থ আলড্রিন শুক্রবার নিউজিল্যান্ডে হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে গ্লেনকে শ্রদ্ধা জানান। সম্প্রতি দক্ষিণ মেরু সফর করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন চাঁদে পা দেওয়া এ দ্বিতীয় মানব।
চিকিৎসায় থেকে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠা আলড্রিন বলেন, “অসুস্থতা কাটিয়ে উঠতে থাকায় আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। কিন্তু মহাকাশ অভিযানের আরেক পথিকৃত এবং বিশ্বের একজন কিংবদন্তীকে হারিয়ে আমি মর্মাহত।”
জন গ্লেনই ছিলেন প্রথম মার্কিন নভোচারী যিনি ১৯৬২ সালে স্পেস ক্যাপসুল ফ্রেন্ডশিপ সেভেনে চড়ে পৃথিবী প্রদক্ষিণ করেছিলেন। এ মহাকাশ ভ্রমণই তাকে কিংবদন্তী করে তোলে।
১৯৯৮ সালে তিনি আবার মহাকাশে যান। এটিই ছিল তার সর্বশেষ মহাকাশ ভ্রমণ। তখন তার বয়স ছিল ৭৭। ফলে সবচেয়ে বেশি বয়সে মহাকাশে যাওয়ার রেকর্ডটিও তিনিই গড়েছিলেন।
বিবিসি জানায়, সম্ভবত ভার্জিনিয়ার আর্লিংটন জাতীয় সমাধিস্থলে জন গ্লেনকে সমাহিত করা হবে।
গ্লেন ১৯২১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসায় যোগ দেওয়ার আগে তিনি পাইলট ছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি।
সত্তরের দশকে নাসা ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছিলেন গ্লেন। ১৯৭৪ সালে তিনি ডেমোক্রেট সিনেটর নির্বাচিত হন। ২৪ বছরপর্যন্ত তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।
তার মৃত্যুতে এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেছেন, জাতি এক মহান বীরকে হারাল, যিনি মহাশুণ্যের গবেষণায় নতুন দিগন্তের সূচনা করে গেছেন।