প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়াচ্ছে চীন

এ বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা হ্রাস করেছে চীন। প্রতিরক্ষা ব্যয় এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই বাড়ানো হচ্ছে।

নিউজ ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 6 March 2023, 01:40 PM
Updated : 6 March 2023, 01:40 PM

নানা দিক থেকে হুমকি ‘বাড়ার’ সতর্কবার্তা দিয়ে চীন তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় গত বছরের তুলনায় ৭ শতাংশের বেশি বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে।

সোমবার ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসে (এনপিসি) চীন সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয় বলে জানায় বিবিসি।

অথচ, দেশটি গত এক দশক ধরে গড়ে প্রতিবছর প্রতিরক্ষা ব্যয় আগের বছরের চেয়ে প্রায় ১০ শতাংশ করে বাড়িয়েছে। তার মধ্যে ২০১৪ সালে বেড়েছে সবচেয়ে বেশি, ১২ দশমিক ২ শতাংশ।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির দেশ চীনে সাধারণত বার্ষিক প্রতিরক্ষা ব্যয় ২২ হাজার ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের আশেপাশে থাকে। দেশটির চিরশত্রু এবং সর্ববৃহৎ ‍অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের বার্ষিক প্রতিরক্ষা ব্যয় এর প্রায় চারগুণ।

যদিও বিশ্লেষকদের বিশ্বাস, চীন তাদের প্রতিরক্ষা ব্যয় যা দেখায়, প্রকৃত ব্যয় তার থেকে বেশি।

অর্থনৈতিকভাবে চীন যত শক্তিশালী হচ্ছে, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে তাদের বিরোধ তত বাড়ছে। নিজেদের পণ্য দিয়ে বিশ্ব বাজার দখল করতে চীন বাকি বিশ্বের উপর নিজেদের প্রভাব কায়েম করতে চাইছে।

এদিকে ‘চীনকে দমন ও বশে রাখতে বহিরাগত প্রচেষ্টাও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে’, বিদায়ী চীন প্রধানমন্ত্রী লি খাখিয়াং সরকারের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে পরামর্শ দিয়ে বলা হয়, ‘‘সশস্ত্র বাহিনীর উচিত সামরিক প্রশিক্ষণ বাড়ানো এবং সীমান্ত জুড়ে প্রস্তুতি জোরদার করা।”

ওই প্রতিবেদনে এবছর চীন তাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতির লক্ষ্য হ্রাস করে ৫ শতাংশ করেছে বলেও জানানো হয়।

এবার চীনের প্রতিরক্ষা ব্যয় গত বছরের চেয়ে বাড়ানো হলেও বার্ষিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে সেটির সামঞ্জস্য রাখা হয়েছে।

ইউক্রেইন যুদ্ধ, গুপ্তর বেলুন এবং রাশিয়ার সঙ্গে চীনের সখ্যের প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কের অবনতির এই সময়ে বেইজিং সামরিক ব্যয় বাড়ানোর এই পদক্ষেপ নিল।

গত বছর তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে বেইজিং ও ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছে। চীন আগামী কয়েকবছরের মধ্যে তাইওয়ানে আক্রমণ করে বসতে পারে বলে বারবারই সতর্ক করে আসছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।

তাইওয়ানের আশেপাশে চীন ইদানিংকালে তাদের সমরশক্তির প্রদর্শনও বাড়িয়েছে। চীন তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে মনে করে। প্রয়োজনে তাইওয়ানকে জোর করে একত্রীকরণের হুমকিও তারা দিয়েছে।